Welcome to Law Firm

Tuesday, January 23, 2024

বাবরি মসজিদ ইতিহাস

 

ছবি: পাঁচ মিশালী


১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং শিব সেনা পার্টির সমর্থকরা বাবরি মসজিদটি ধ্বংস করে। এর ফলে পুরো ভারতে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে হওয়া দাঙ্গায় ২ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।

১৫২৮ সালে নির্মাণ



বাবরি মসজিদ: ফিরে দেখা ইতিহাস

 যুগান্তর ডেস্ক 
 ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ০২:৫৭ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ
35Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
whatsapp sharing button
twitter sharing button
linkedin sharing button
বাবরি মসজিদ

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং শিব সেনা পার্টির সমর্থকরা বাবরি মসজিদটি ধ্বংস করে। এর ফলে পুরো ভারতে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে হওয়া দাঙ্গায় ২ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।

১৫২৮ সালে নির্মাণ

রামায়ণ-খ্যাত অযোধ্যা শহর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ফৈজাবাদ জেলায় অবস্থিত। তারই কাছে রামকোট পর্বত। ১৫২৮ সালে সেখানে সম্রাট বাবরের আদেশে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়, যে কারণে জনমুখে মসজিদটির নামও হয়ে যায় বাবরি মসজিদ। আবার এ-ও শোনা যায়, গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকের আগে এই মসজিদ ‘মসজিদ-ই-জন্মস্থান’ বলেও পরিচিত ছিল।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

বাবরি মসজিদ নিয়ে সংঘাত ঘটেছে বার বার। অথচ ফৈজাবাদ জেলার ১৯০৫ সালের গ্যাজেটিয়ার অনুযায়ী, ১৮৫২ সাল পর্যন্ত হিন্দু এবং মুসলমান, দুই সম্প্রদায়ই সংশ্লিষ্ট ভবনটিতে প্রার্থনা ও পূজা করেছে।

সংঘাতের সূত্রপাত

প্রথমবারের মতো হিন্দু মুসলমানের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত। ১৮৫৯ সালে ব্রিটিশ সরকার দেয়াল দিয়ে হিন্দু আর মুসলমানদের প্রার্থনার স্থান আলাদা করে দেয়।

হিন্দুদের দাবি

আওয়াধ অঞ্চলের বাবর-নিযুক্ত প্রশাসক ছিলেন মির বকশি। তিনি একটি প্রাচীনতর রাম মন্দির বিনষ্ট করে তার জায়গায় মসজিদটি নির্মাণ করেন বলে হিন্দুদের দাবি।

বেআইনিভাবে মূর্তি স্থাপন

১৯৪৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর– বেআইনিভাবে বাবরি মসজিদের অভ্যন্তরে রাম-সীতার মূর্তি স্থাপন করা হয়।

নেহরুর ঐতিহাসিক পদক্ষেপ

রাম-সীতার মূর্তি স্থাপনের পর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গোবিন্দ বল্লভ পন্থকে চিঠি লিখে হিন্দু দেব-দেবীদের মূর্তি অপসারণ করার নির্দেশ দেন, তিনি বলেন ‘ওখানে একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা হচ্ছে’।

মসজিদের তালা খোলার আন্দোলন

১৯৮৪ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মসজিদের তালা খুলে দেয়ার দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করে। ১৯৮৫ সালে রাজীব গান্ধীর সরকার ঠিক সেই নির্দেশই দেন।

দুই সম্প্রদায় মুখোমুখি অবস্থানে

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রাম মন্দির নির্মাণের জন্য একটি কমিটি গঠন করে। ১৯৮৬ সালে মসজিদের তালা খুলে সেখানে পূজা করার অনুমতি প্রার্থনা করে হিন্দু পরিষদ। অন্যদিকে, মুসলমানরা বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি গঠন করেন।

‘রাম রথযাত্রা’

১৯৮৯ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগে ভিএইচপি বিতর্কিত স্থলটিতে (মন্দিরের) ‘শিলান্যাস’ এর অনুমতি পায়। ভারতীয় জনতা পার্টির প্রবীণ নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানি ভারতের দক্ষিণতম প্রান্ত থেকে দশ হাজার কিলোমিটার দূরত্বের ‘রাম রথযাত্রা’ শুরু করেন।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর এল কে আদভানি, মুরলি মনোহর যোশি, বিনয় কাটিয়াসহ অন্যান্য হিন্দুবাদী নেতারা মসজিদ প্রাঙ্গনে পৌঁছান। ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি, শিবসেনা আর বিজেপি নেতাদের আহ্বানে প্রায় দেড় লাখ মানুষ বাবরি মসজিদে হামলা চালায়। ছড়িয়ে পড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।

সমঝোতার উদ্যোগ

২০০২ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী দু’পক্ষের সমঝোতার জন্য বিশেষ সেল গঠন করেন। বলিউডের সাবেক অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহাকে হিন্দু ও মুসলমানদের নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করার দায়িত্ব দেয়া হয়।

বিজেপি দোষী

বিশেষ কমিশন ১৭ বছরের তদন্তের পর ২০০৯ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপিকে দোষী দাবি করা হয়।

এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়

২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তার রায়ে জানান, যে স্থান নিয়ে বিবাদ তা হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া উচিত। এক তৃতীয়াংশ হিন্দু, এক তৃতীয়াংশ মুসলমান এবং বাকি অংশ নির্মোহী আখড়ায় দেওয়ার রায় দেন। রায়ে আরও বলা হয়, মূল যে অংশ নিয়ে বিবাদ তা হিন্দুদের দেয়া হোক।

হিন্দু ও মুসলমানদের আবেদন

হিন্দু ও মুসলমানদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১১ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের সেই রায় বাতিল করে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেন, বাদী বিবাদী কোনো পক্ষই জমিটি ভাগ করতে চান না।

ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়

ভারতে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের কণ্টকিত ইতিহাসে বাবরি মসজিদে হামলা একটি ‘কলঙ্কিত অধ্যায়’। গুটি কয়েক হিন্দু সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দিনটিকে সূর্য দিবস বলে আখ্যায়িত করলেও বেশিরভাগ ভারতীয় দিনটিকে ‘কালো দিন’ বলে উল্লেখ করেন। অনেকেই বলেন, এ ঘটনায় দেশের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি একেবারে ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

বাবরি মসজিদের ঐতিহাসিক ছবি

 












সুপ্রিম কোর্টে চালু হলো গলফ কার্ট, বন্ধ হচ্ছে রিকশা চলাচল

    ছবি: পাঁচমিশালী

আইনজীবীদের চলাচলের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ‘গলফ কার্ট’ চলাচলের উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বিশেষ উদ্যোগে এই গলফ কার্টের ব্যবস্থা করা হলো। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেট থেকে আইনজীবী সমিতি ভবন সংলগ্ন সোনালী ব্যাংক পর্যন্ত এ গলফ কার্টগুলো চলাচল করবে। এদিকে, গলফ কার্ট চালুর পর আগামী রোববার (২৮ জানুয়ারি) থেকে সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে কোনো রিকশা প্রবেশ করতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

ছবি: পাঁচমিশালী

জানা গেছে, আইনজীবীদের মধ্যে যারা রিকশায় চলাচল করেন, তারা মাজার গেটে নেমে গলফ কার্টে চড়ে আইনজীবী সমিতি ভবন সংলগ্ন সোনালী ব্যাংকের সামনে আসতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে তিনটি গলফ কার্ট চলাচল করবে।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে গলফ কার্ট চলাচল উদ্বোধনে করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা কমিটির প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর তিনটি গলফ কার্টে চড়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ, ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী, বারের সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল, বারের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কয়েকজন সাংবাদিক সুপ্রিম কোর্ট চত্বর প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে থেকে  প্রধান বিচারপতি, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা হাততালি দিয়ে উৎসাহ দেন।


এর আগে, গলফ কার্ট চলাচলের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ও পরিবেশ সুন্দর রাখতে রিকশার পরিবর্তে গলফ কার্ট চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সুপ্রিম কোর্ট থেকে আইনজীবীদের চলাচলের জন্য তিনটি গলফ কার্ট দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সংখ্যা বাড়ানো হবে। সু্প্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি চাইলে তিনটির সাথে আরও গলফ কার্ট সংযুক্ত করতে পারবে।

dhakapost

ছবি: পাঁচমিশালী

সুপ্রিম কোর্টের আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা কমিটির প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তার কথা বিশেষভাবে ভাবা হয়। সেসব দেশে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের ক্ষেত্রে অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রধান বিচারপতির বিশেষ উদ্যোগে গলফ কার্ট উদ্বোধন করা হলো। তিনি এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও সব আইনজীবীদের সহযোগিতা কামনা করেন।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার কার্যালয় ঢাকা পোস্টকে জানায়, আগামী রোববার (২৮ জানুয়ারি) থেকে সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরে রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।


সূত্র: ঢাকা পোস্ট

Tuesday, January 16, 2024

পদত্যাগ করলেন নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট সদস্য অভিযোগ চুরির

দোকান থেকে চুরির বেশ কয়েকটি অভিযোগ ওঠায় আজ মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন নিউজিল্যান্ডের এক পার্লামেন্ট সদস্য। তাঁর নাম গোলরিজ ঘাহরামান। তিনি গ্রিন পার্টির সদস্য।

গোলরিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে কাপড়ের দুটি দোকান থেকে তিনবার চুরির ঘটনা। এর মধ্যে একটি দোকান অকল্যান্ডে, অন্যটি ওয়েলিংটনে।

অকল্যান্ডের একটি বুটিক থেকে ডিজাইনার হ্যান্ডব্যাগ চুরির সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এলে তিনি পদত্যাগ করেন। পুলিশ অবশ্য অভিযোগগুলো তদন্ত করছে।

গোলরিজ বলেন, কাজের চাপ থেকে তিনি এটি করেছেন, যা তাঁর চরিত্রের সম্পূর্ণ বাইরে। তিনি বলেন, ‘আমি অনেককে হতাশ করেছি। আমি খুবই দুঃখিত।’

গোলরিজ ঘাহরামান জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সাবেক আইনজীবী। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড সরকারে শপথ নেওয়া প্রথম শরণার্থী হিসেবে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন তিনি। শৈশবেই গোলরিজ পরিবারের সঙ্গে ইরান থেকে পালিয়ে নিউজিল্যান্ডে চলে আসেন। সেখানে তাঁরা রাজনৈতিক আশ্রয় পান।

৪২ বছর বয়সী গোলরিজ এক বিবৃতিতে বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছ থেকে জনগণ যে উঁচু মানের আচরণ আশা করে, তাঁর আচরণ সেই প্রত্যাশার বিপরীত।

গোলরিজ বলেন, ‘এটি কোনো আচরণ নয়, যা আমি ব্যাখ্যা করতে পারি। কারণ, এটি কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয় এবং চিকিৎসকের মূল্যায়নের পর আমি বুঝতে পারছি যে আমি ভালো নেই।’ তিনি নিজের এ ধরনের কাজের জন্য কোনো অজুহাতও দিতে চান না বলে উল্লেখ করেন।

গোলরিজের পদত্যাগের বিষয়ে গ্রিন পার্টির উপনেতা জেমস শ বলেন, গোলরিজ যেদিন পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, সেদিন থেকেই যৌন ও শারীরিক সহিংসতা এবং মৃত্যুর যথেষ্ট হুমকি পেয়ে এসেছেন। এসবের ফলে তিনি অন্যান্য পার্লামেন্ট মেম্বারের তুলনায় অত্যধিক মানসিক চাপে কাটিয়েছেন।

জেমস আরও বলেন, ‘তিনি (গোলরিজ) সংসদ সদস্য থাকার প্রায় পুরো সময়ই এসব হুমকির বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করেছে এবং স্পষ্টতই আপনি যদি হুমকির মধ্যে বসবাস করেন, যা অত্যন্ত চাপের, তখন এমন ঘটনা ঘটতে পারে।’

গ্রিন পার্টির আরেক নেতা মারামা ডেভিডসন বলেন, ‘গোলরিজ পদত্যাগ করেছেন ঠিকই, কিন্তু এটা স্পষ্ট যে তিনি মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে ছিলেন। তাঁর প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।’

Wednesday, July 19, 2023

মুহূর্তের মধ্যে তেলাপোকা ও ছারপোকা দূর করার সহজ উপায়

 তেলাপোকা ও ছারপোকা ঘরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই আজকে আপনাদের বলব কিভাবে ঘর থেকে দূর করবেন তেলাপোকা-ছারপোকা। এ টিপসটি ১০০% কার্যকরী, যা পরীক্ষিত।

টিপস ১: প্রথমে আপনি সেবলন বা ডেটল যে কোন একটি নিবেন। আর লাগবে পানি।

তেলাপোকা-ছারপোকা

২৫০ গ্রাম পানির জন্য ৪ চা চামচ সেভলন বা ডেটল নিবেন। পানির পরিমান কম বেশি নিলে সেভলনের পরিমানও কম বেশি নিবেন। এরপর পানি এবং সেভলন ভালভাবে মিলিয়ে একটি বোতলে নিবেন। ভালোভাবে মিলানোটা কিন্তু খুবই গুরুত্ব পূর্ন। কারণ ভালোভাবে না মিশালে এটি কার্যকরী হবে না। তারপর বোতলের সঙ্গে একটি স্প্রের মুখ লাগিয়ে স্প্রে করে দিবেন।

যেখানে যেখানে তেলাপোকা বা ছারপোকা ঘুরে বেড়ায় সেখানে সেখানে স্প্রে করে দিবেন। ৫ মিনিটের মধ্যে তেলাপোকা বা ছারপোকা মরে যাবে বা চলে যাবে। আর কখনও আসবে না। পরপর এক সপ্তাহর মত স্প্রে করলে দেখবেন আপনার ঘর পুরোপুরি তেলাপোকা বা ছারপোকা মুক্ত হয়ে যাবে।


টিপস ২: এ জন্য লাগবে শশা এবং পরিমাণ মত পানি। নরমাল পানি নিলেও হবে। প্রথমে আপনি শশাটা কেটে নিবেন রাউন্ড সেপ করে। খুব বেশি মোটা করে কাটবেন না। যাতে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করা যায় সে রকম করে পাতলা পাতলা কাটবেন। খোসাসহ কেটে নিবেন।

এবার কুচানো শশাগুলো ব্লেন্ড করে নিতে হবে। আপনাদের কাছে যদি ব্লেন্ডার না থাকে তবে পাটায় খুব মিহি করে বেটে নিতে পারেন। একটা শশার জন্য তিন টেবিল চামচ পানি নিয়ে ব্লেন্ড করে নিবেন খুবই মিহি করে। এরপর একটি ব্রাশ নিবেন।

ব্রাশে শশার পেস্ট লাগাবেন। যেখানে যেখানে তেলাপোকার উপদ্রব বেশি সেখানে সেখানে শশার পেস্ট লাগিয়ে নিবেন। তেলাপোকার উপদ্রব যতদিন বেশি থাকবে ততদিন লাগাবেন। উপদ্রব কমে গেলে কিছু দিন পরপর লাগালেও হবে। শশার পেস্ট বেশি ঘন আবার বেশি পাতলাও হতে পারবে না।