Welcome to Law Firm

Wednesday, November 1, 2017

বাড়াতে পারেন নিজের আত্মবিশ্বাস :

যে কয়টি উপায়ে বাড়াতে পারেন নিজের আত্মবিশ্বাস :
   সফলতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। অনেকে আছেন যারা আত্মবিশ্বাসের অভাবেই নিজেকে তুলে ধরতে পারেন না।জীবনের লক্ষ্য অর্জনে আত্মবিশ্বাস অর্জনের কোনো বিকল্প নেই ১) মেনে নিতে শিখুন ২) নিজেকে বিশ্বাস করুন ৩) কাজের আগেই প্রস্তুতি নিন ৪) সুখে থাকার অভিনয় করুন ৫) কথা বলুন চোখে চোখ রেখে ৬) বিরক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করুন ৭) কখনোই বিষন্নতায় ভুগবেন না ৮) ইতিবাচক চিন্তা করা শুরু করুন ৯) আগ্রহের জায়গায় দক্ষতা বাড়ান ১০) পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও অনুশীলন করুন ১১) মনোযোগ দিয়ে শুনুন, তারপর বলুন ১২) নেতিবাচক মানুষের সংগ ত্যাগ করুন ১৩) মেরুদণ্ড সোজা ও মাথা উচুঁ করে হাঁটুন ১৪) নিজেকে সব সময় সঠিক ভাবা বাদ দিন ১৫) নিজের প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তিগুলো লিখে ফেলুন ১৬) অঙ্গভঙ্গীতে আত্মবিশ্বাসী ভাব ফুটিয়ে তুলুন ১৭) নিজের ব্যাপারে নেতিবাচক কথা বলবেন না ১৮) মানুষজনের সাথে মিশুন ও নেটওয়ার্ক বাড়ান ১৯) নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে উপস্থাপন করুন ����������������������������������������������������������������������ধন্যবাদ������������������������������������������������������������������Mozammel Hoq

Friday, October 20, 2017

সমসাময়িক

পাঠাগার থেকে সরিয়ে ফেলা হল সূচির ছবি,টয়লেট থেকে মুছে ফেলা হল সূচির নাম।মাত্র দুই মাসের ভিতরে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা আর লাখ লাখ মানুষকে ভিটেমাটি করার শাস্তিসরূপ পারলে কঠোর কোন পদক্ষেপ নিন,ব্যবস্থা গ্রহণের নামে এইসব তামাশা আর কত দিন?
চালের কেজি ৭০ টাকা,যে বৃষ্টি শুরু হইছে তাতে যদি নিন্মাঞ্চলের ধান তলিয়ে যায় তবে চালের কেজি সেঞ্চুরি পুরোন করতে সময় লাগবে না।দেশের আমদানি-রপ্তানি ঘাটতিও বাড়ছে হু হু করে।এটা ব্যালেন্স করার জন্য রেমিট্যান্স প্রবাহের যে ধারা ছিল তাও দিনে দিনে কমে যাচ্ছে।আজ বিশ্বব্যাংক বলছে রোহিঙ্গাদের জন্য ঋণ নাও,এই অবস্থা চলতে থাকলে দুইদিন পর আমাদেরকেই ঋণের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে ধরণা দিতে হবে।আবেগ দিয়ে সব কিছু জয় করা যায় না!
Mozammel

Thursday, August 31, 2017

Facebook একাউন্ট হ্যাক হলে কীভাবে উদ্ধার করবেন এবং আইনী সহযোগিতা কীভাবে পাবেন?

ফেসবুক একাউন্ট এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী। মোবাইল নম্বর কিংবা একটি ইমেইল আইডির চেয়ে ফেসবুক একাউন্ট কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে অথবা অন্যের দখলে চলে গেলে আপনার উক্ত একাউন্ট ব্যবহার করে কেউ কোন ক্রাইম করলে তার দায়ভার কিন্তু আপনার ঘারেই পড়বে। এবং আপনি পড়তে পারেন ভয়াবহ বিপদে।
ফেসবুক একাউন্ট সুরক্ষা রাখার সব ধরনের ব্যবস্থা করে রাখলেও অনেক সময় একাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়। তাই হ্যাক হওয়া মাত্রই কী কী পদক্ষেপগুলো আপনার নেওয়া উচিত এবং কীভাবে ফেসবুক একাউন্টটি উদ্ধার করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করলাম।

১) প্রথমেই এই লিঙ্কে যান http://www.facebook.com/hacked

২) একটি পেজ আসবে, এখান থেকে “My account is compromised” এই বাটনে ক্লিক করুন।

৩) হ্যাক হওয়া একাউন্টটির তথ্য চাইবে এখানে। উল্লেখ করা ৩ টি অপশনের যেকোন একটির ইনফরমেশন দিন। দিয়ে ক্লিক করুন সার্চ এ ক্লিক করুন-

৪) আপনার প্রদত্ত তথ্য সঠিক হলে আপনার একাউন্টটিই দেখাবে এখানে

৫) এখন “This is My Account” এ ক্লিক করুন।

৬) ক্লিক করার পর আপনার পুরাতন পাসওয়ার্ডটি চাইবে।

এখানে আপনার পুরাতন পাসওয়ার্ড টি দিয়ে “Continue” করুন। আপনাকে একটা কনফার্মেশন মেসেজ দিবে। তার পরে কন্টিনিউ করে পরের স্টেপ গুলি পার করুন। সাধারনত পরের স্টেপে আপনার কাছ থেকে একটা নতুন পাসোয়ার্ড চাওয়া হবে। পরের ফর্মগুলো ঠিক ঠাক পূরন করলে ফেসবুক থেকে আপনার একাউন্ট আবার ফেরত পেয়ে যাবেন।

বিকল্প পদ্ধতি
যদি ফেসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ড হ্যাক হয় এবং মেইল একাউন্টটি ঠিক থাকে তবে এই লিঙ্ক থেকে রিকুয়েস্ট পাঠালে পাসওয়ার্ড সমাধান পাওয়া যাবে। https://ssl.facebook.com/reset.php
যদি ওপরের লিঙ্কে কাজ না হয় তবে পাসওয়ার্ডটি পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। http://www.facebook.com/help/¬identify.php?show_for-m=hack_login_changed
যদি ই-মেইল এড্রেসটি পরিবর্তন হয়ে যায় তবে নিম্নলিখিত লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। ফর্মটি পূরণ করে পাঠালে ফেসবুকের কর্মকর্তারা যোগাযোগ করবে। https://ssl.facebook.com/help/contact.php?show_form=hacked_self_recovery

আইনের সহযোগীতা নিন
ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে আপনাকে সহজেই বিপদে ফেলতে পারে হ্যাকাররা। তাই হ্যাক হওয়া একাউন্টটি যদি কোনভাবেই উদ্ধার করতে না পারেন তাহলে দেরি না করে অবশ্যই আইনের সহযোগিতা নিন। অর্থাৎ পুলিশ এবং বিটিআরসিকে জানিয়ে রাখুন যাতে পরবর্তীতে আপনার একাউন্ট ব্যবহার করে কেউ অপরাধমূলক কোন কাজ করলে আপনি বেচে যান।

আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে আপনার সামনে দুটি উপায় খোলা আছে
১) অ্যাকাউন্ট টি পুনরুদ্ধার করা ।
২) অ্যাকাউন্ট টি চিরতরে ডিলেট করে দেওয়া ।

দুটি ক্ষেত্রেই আপনাকে সহযোগিতা করবে তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয় । তারা মাত্র তিন দিনের ভেতর হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্টটি উদ্ধার করে দেবে অথবা আপনার অনুমতি সাপেক্ষে ডিলেট করে দেবে ।

অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে প্রথমেই করনীয় কাজ হল এলাকার পুলিশ ষ্টেশন এ গিয়ে জিডি করা । জিডি করার অভিজ্ঞতা না থাকলে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও আপনাকে সাহায্য করবেন । জিডি করা খুব সহজ । দায়িত্তরত পুলিশ কর্মকর্তা এর সামনে বসে আপনার সমস্যার কথা জানিয়ে একটা সাধারন ডায়েরি করবেন । জিডি করা শেষে আপনাকে জিডির একটি কপি দেওয়া হবে । এই কপিটি খুব যত্নের সাথে রেখে দিবেন ।

জিডি করা শেষে আপনার দ্বিতীয় কাজ হবে তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয় এর সাইবার নিরাপত্তা হটলাইনে ফোন করে তাদের সাথে যোগাযোগ করা । সাইবার নিরাপত্তা হটলাইনে নাম্বারঃ 01766678888 . সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা এর ভেতর যোগাযোগ করবেন । শুক্রবার বন্ধ থাকে । তারা জানতে চাইবে আপনার অ্যাকাউন্ট টি পুনরুদ্ধার করতে চান নাকি অ্যাকাউন্ট টি চিরতরে ডিলেট করে দিতে চান । আপনার সমস্যা শোনার পর তারা আপনাকে একটি ইমেইল অ্যাড্রেস দেবেন । ইমেইল অ্যাড্রেস হলঃ info@cybernirapotta.net . এই ইমেইল অ্যাড্রেস এ আপনাকে যে অ্যাটাচমেন্ট গুলো পাঠাতে বলা হবে সেগুলো হচ্ছেঃ

১) জিডির স্ক্যান করা কপি ।
২) ভোটার আইডি কার্ড এর রঙ্গিন স্ক্যান কপি ( রঙ্গিন হওয়া আবশ্যক ) ।
৩) হ্যাক হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এর লিংক।
৪) ইতিপূর্বে কখনও কোথাও ব্যবহার করা হয় নি এমন সম্পূর্ণ নতুন খোলা একটি ইমেইল আইডি ।

সব অ্যাটাচমেন্ট সহ ইমেইল পাঠিয়ে দেওয়ার পর চাইলে আপনি আবার হটলাইনে কল করে ইমেইল পেয়েছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেন । এরপর তিন দিনের ভেতর আপনার হ্যাক হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করে আপনাকে ফোন দিয়ে জানানো হবে ।

ফেসবুক পাসওয়ার্ড এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
অনেকেই ফেসবুক একাউন্ট এর ব্যবহৃত ইমেইলের পাসওয়ার্ড ও ফেসবুকের পাসওয়ার্ড একই রেখে থাকেন। এটি কিন্তু মারাত্বক একটি ভুল। কারণ হ্যাকাররা যখন ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে তখন দ্বিতীয় ধাপে তারা একই পাসওয়ার্ড দিয়ে ইমেইল আইডিও হ্যাক করার চেষ্টা করে। এবং কোনভাবে যদি ইমেইল আইডি হ্যাক করতে পারে তাহলে কিন্তু বড় বিপদ। এরফলে ফেসবুক একাউন্ট রিকোভারী করার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে, পাশাপাশি ইমেইলটিও হারালেন যেখানে হয়তো আপনার রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

ফেসবুক আইডিতে ব্যবহার করা ই-মেইল ও ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড ভিন্ন রাখুন। কারণ হ্যাকাররা সাধারণত ফেসবুক হ্যাক করার পর ই-মেইল এড্রেস বদলে ফেলে। আর ই-মেইল এড্রেস বদলে ফেলতে পারলে হ্যাকিং হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়া কঠিন। হ্যাকিং হওয়া অ্যাকাউন্ট উদ্ধারের একমাত্র উপায় হলো ই-মেইল এড্রেস।
অন্য কারো কম্পিউটার বা মোবাইল বা আইপ্যাডে ফেসবুক লগ ইন করলে কাজ শেষে অবশ্যই লগ আউট করতে হবে। এক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড রিমেম্বার দেওয়া যাবে না।

পাবলিক কম্পিউটারে বসলে কাজ শেষে অবশ্যই cache এবং cookies ডিলেট করতে হবে।
মেইলে আসা সফটওয়্যার সেট আপ দেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান থাকুন। অনেক সময় এ রকম ফাইল দিয়ে তথ্য চুরির চেষ্টা করা হয়।

ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপনার মোবাইল নম্বর দিয়ে রাখুন।

Mozammel.tk
Sources: http://www.somoynews.tv/ pages/details/85362

Tuesday, August 22, 2017

পড়াশুনা

Monday, August 14, 2017

‘টাকা নিয়ে বসে আছি, নিয়ে যান’

জমি আছে বাড়ি করার টাকা নাই, আবার ডেভেলাপারের কাছেও যেতে চান না। কিংবা বাড়ি করেছেন দুই তলা, প্ল্যান আছে ৭ তলা করার কিন্তু পারছেন না। অনেকের বাড়ি পুরাতন হয়ে গেছে সেটিও মেরামত করাতে পারছেন না। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার পাশেই রয়েছে হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি)। বাড়ি নির্মাণ করা থেকে শুরু করে মেরামত করার টাকাও দেবে সরকারি এ সংস্থা। কম সুদের হারে সহজ শর্তে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ দিচ্ছে হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন। এমনকি প্রবাসীদের জন্য ‘প্রবাস বন্ধু’ নামেও রয়েছে একটি প্রকল্প। 
জনগণের সেবায় নিত্যনতুন প্রকল্প গড়ে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে চায় হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন। পূর্বের দোষত্রুটি শুধরে একেবারে ডিজিটালাইজড সিস্টেমে এগিয়ে চলেছে সংস্থাটি। গত জানুয়ারিতে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ চক্রবর্তী যোগদানের পরই মূলত গতি পায় সংস্থাটি। নিজস্ব কিছু ভাবনায় ছয়টি নতুন প্রকল্প খুলে তাতে সাড়াও মিলছে। ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে তা ছাড়িয়েও গেছে।
দেবাশীষ চক্রবর্তী বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে গত ১ জানুয়ারিতে যোগদান করেন। এর আগে তিনি রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি যোগদানের পর থেকে ঢেলে সাজানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স ৬ ক্যাটাগরিতে ঋণ প্রদান করছে।
হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা হয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ চক্রবর্তীর সঙ্গে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের জন্য আবাসন নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন। কর্পোরেশনকে ডিজিটালাইজড করে ভোগান্তি কমিয়ে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে। 
ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ আরও বলেন, যোগদানের পরপরই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে ঠিক করে নিজস্ব ভাবনায় ৬টি ক্যাটাগরি আমরা নির্ধারণ করি। ক্যাটাগরিগুলো হলো নগর বন্ধু, প্রবাস বন্ধু, আবাসন উন্নয়ন, আবাসন মেরামত, ফ্ল্যাট ঋণ এবং পল্লীমা। ক্যাটাগরিগুলো নির্ধারণ করে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছি। এর ফলাফলও ভালো আসছে।

ক্যাটাগরিগুলো হলো-
নগরবন্ধু: ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে “একক/যৌথভাবে বাড়ি নির্মাণ” অথবা ফ্ল্যাটক্রয়ে সরল সুদে গৃহঋণ সেবা।সর্বোচ্চ ঋণসীমা: বাড়ি নির্মাণে সর্বোচ্চ ১ কোটি এবং ফ্ল্যাটক্রয়ে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ টাকা। সুদের হার: বাড়ি নির্মাণে ৯.৫০% এবং ফ্ল্যাটক্রয়ে: ১০%।পরিশোধ মেয়াদকাল: ৫,১০,১৫ বা ২০ বছর।
পল্লীমা: ঢাকা-চট্টগ্রাম মেট্রোএলাকার বাইরে যেকোন জেলা/উপজেলা, গ্রোথসেন্টারে একক/গ্রুপে বাড়ি নির্মাণ অথবা ফ্ল্যাটক্রয়ে সরল সুদে গৃহঋণ সেবা।
সুদের হার: বাড়ি নির্মাণে ৮.৫০% এবং ফ্ল্যাটক্রয়ে: ১০%।পরিশোধ মেয়াদকাল: ৫,১০,১৫ বা ২০ বছর।
আবাসন উন্নয়ন: বিদ্যমান ভবনের অসমাপ্ত ফ্লোর নির্মাণে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত সরল সুদে গৃহঋণ সেবা। সুদের হার: ঢাকা/চট্টগ্রাম মেট্রোএলাকায়: ৯.৫০%, অন্যত্র: ৮.৫০%।
পরিশোধ মেয়াদকাল: ৫,১০,১৫ বা ২০ বছর
আবাসন মেরামত: বিদ্যমান ভবন সংস্কারে সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সরল সুদে গৃহঋণ সেবা।
সুদের হার: ঢাকা/চট্টগ্রাম মেট্রোএলাকায়: ৯.৫০%, অন্যত্র: ৮.৫০%।
পরিশোধ মেয়াদকাল: ৫ অথবা ১০ বছর।
প্রবাসবন্ধু: প্রবাসীদের জন্য সারাদেশে একক/গ্রুপে বাড়ি নির্মাণ অথবা ফ্ল্যাটক্রয়ে সরল সুদে গৃহঋণ সেবা।
সুদের হার: বাড়ি নির্মাণে ঢাকা/চট্টগ্রাম মেট্রো এলাকায়:৯.৫০%, অন্যত্র: ৮.৫০% এবং ফ্ল্যাটক্রয়ে: ১০%।
পরিশোধ মেয়াদকাল: ৫,১০,১৫,২০ অথবা ২৫ বছর।
ফ্ল্যাট ঋণ: ঢাকা-চট্টগ্রাম মেট্রোএলাকাসহ যেকোন জেলা/উপজেলা, গ্রোথসেন্টারে একক/গ্রুপে বাড়ি নির্মাণ অথবা ফ্ল্যাটক্রয়ে সরল সুদে গৃহঋণ সেবা।
সুদের হার ঢাকা ও চট্টগ্রাম এলাকা মেট্রো এলাকাসহ সকল বিভাগীয় শহরে ১০%, পেরি আরবান, উপজেলা সদর ও গ্রোথ সেন্টার এলাকায় ৯%।
পরিশোধ মেয়াদকাল : ৫,১০,১৫,২০ অথবা ২০ বছর।
গ্রাহকদের ইঙ্গিত করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, কাগজপত্র ঠিক থাকলে টাকা নিয়ে বসে আছি। মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই আমরা ঋণ দিচ্ছি।নিয়ে যান।
তিনি বলেন, হাউস বিল্ডিং সম্পর্কে মানুষের ধারণা পাল্টে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগে সারাদেশে ২৯টি অফিস থাকলে আরও ৭১টি অফিসের অনুমোদন পাওয়া গেছে। খুব শীঘ্রই  আরো ৭১টি অফিস খোলা হবে। মানুষের খুব কাছে যেতেই আমাদের এই পরিকল্পনা।
তিনি আরও বলেন, বর্তামান ডিজিটালাইজেশনের যুগে আমরাও পিছিয়ে নেই। আমাদের নিজস্ব ওয়েব সাইটের পাশাপাশি ফেসবুক পেজ রয়েছে। সেখানে লোকজন নানা প্রশ্ন করছেন আমরা সেগুলোর জবাব দিচ্ছি। আমরা কল সেন্টারও খুলতে যাচ্ছি।
দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, দেশ ও দেশের বাইরে আবাসন মেলাও করছি। আগামী ১৯ অক্টোবর থেকে হোটেল সোনারগাঁওয়ে রিহ্যাবের সঙ্গে মেলাও আমরা মেলা করবো।
তিনি বলেন, সার্বিকভাবে মানুষের আবাসন সমস্যা মেটাতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই আমরা করবো।  
Sources: http://www.natunsomoy.com/
টাকা-নিয়ে-বসে-আছি-নিয়ে-যান/101870

Thursday, July 27, 2017

পুলিশ চাইলেই আপনাকে আর গ্রেফতার করতে পারবে না!

#ব্রেকিং_নিউজ: সবাই জেনে রাখুন...

পুলিশ চাইলেই আপনাকে আর গ্রেফতার করতে পারবে না!

হাইকোর্টের এক যুগান্তকারী রায় এর মাধ্যমে অনেক বৎসর থেকেই ৫৪ ধারার অপব্যাবহার এর বিভিন্ন ঘটনা এবং নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলায় রক্ষা বাহিনীকে আরো জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে ।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই রায় দেয়।

এর ফলে ৫৪ ধারা ও ১৬৭ ধারা নিয়ে হাই কোর্টের দেওয়া নির্দেশনা বহাল এবং তা মানায় সরকারের বাধ্যবাধকতা থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এখন থেকে যে কোন পুলিশি গ্রেফতারের আগে পুলিশের কাছ থেকে পরিচয়পত্র এবং ওয়ারেন্ট দেখার অধিকার রাখেন নাগরিকরা।

যে কোন বেআইনি কর্মকাণ্ডে হাতে নাতে ধরা পড়া ব্যাতিত সম্পূর্ণ সন্ধেহর ভিত্তিতে পুলিশ চাইলেই কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না ।

হাইকোর্টের নির্দেশনা ঃ

ক. আটকাদেশ (ডিটেনশন) দেওয়ার জন্য পুলিশ কাউকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করতে পারবে না।

খ. কাউকে গ্রেপ্তার করার সময় পুলিশ তার পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য থাকবে।

গ. গ্রেপ্তারের তিন ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে কারণ জানাতে হবে।

ঘ. বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য স্থান থেকে গ্রেপ্তার ব্যক্তির নিকট আত্মীয়কে এক ঘণ্টার মধ্যে টেলিফোন বা বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে বিষয়টি জানাতে হবে।

ঙ. গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে তার পছন্দ অনুযায়ী আইনজীবী ও আত্মীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করতে দিতে হবে।

চ. গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে কারাগারের ভেতরে কাচের তৈরি বিশেষ কক্ষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। ওই কক্ষের বাইরে তার আইনজীবী ও নিকট আত্মীয় থাকতে পারবেন।

ছ. জিজ্ঞাসাবাদের আগে ও পরে ওই ব্যক্তির ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে হবে।

ট. পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল বোর্ড গঠন করবে। বোর্ড যদি বলে ওই ব্যক্তির ওপর নির্যাতন করা হয়েছে তাহলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা নেবেন এবং তাকে দণ্ডবিধির ৩৩০ ধারায় অভিযুক্ত করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন,  ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা অনুযায়ী কোনো পুলিশ সদস্য যদি কাউকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করে, কিংবা ১৬৭ ধারায় রিমান্ডে নেয়, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যব্স্থা নেওয়া হবে। এ কথা জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগ বহাল রেখেছেন। কাজেই উচ্চ আদালতের রায় আমাদের জন্য মানা বাধ্যতামূলক। উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন তা আমি শুনেছি। এখনো রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি হাতে পাইনি। রায়ের কপি পেলে কী কী নির্দেশনা আছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
mozammel.tk

Friday, July 7, 2017

পড়াশুনা

এডভোকেটশীপ প্রিপারেশন
-----------------------
(জুডিশিয়ারী ও আইনের ছাত্রছাত্রী এবং আইন পিপাসুদের জন্য ও প্রযোজ্য)
পর্ব ৫,বিষয়:দেওয়ানি কার্যবিধি।
০১/প্রশ্নমালা কে প্রণয়ন করে?
উ:বাদী বা বিবাদি।
০২/প্রশ্নমালা কখন প্রণয়ন করতে হবে?
উ:বিচার্য বিষয় প্রনয়ণের তারিখ হতে ১০ দিনের মধ্যে।
০৩/প্রশ্নমালার উত্তর কে দিবেন কোথায় তা থাকবে?
উ:পাদটিকায়।
০৪/আদালত প্রশ্নমালা সম্পর্কে কখন সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন?
উ:আদালতে উক্ত প্রশ্নমালা পেশের তারিখ হতে ১৪ দিনের মধ্যে।
০৫/কোন প্রশ্নমালা অযৌক্তিকভাবে বা বিরক্তিকর ভাবে উত্থাপিত হয়েছে এই কারনে তা রদ করত হলে----------?
উ:প্রশ্নমালা জারির সাত দিনের মধ্যে তা পেশ করতে হবে।
০৫/প্রশ্নমালার উত্তর দিতে হবে?
উ:দশ দিনের ভিতর এবং এফিডেবিট সহকারে।
০৬/ নোটিশ প্রদান করার কত দিনের মধ্যে দলিল স্বীকারের জন্য একপক্ষ অন্য পক্ষকে বলতে পারে?
উ:১৫ দিন।
০৭/বিচার্য বিষয় কত প্রকার?
উ:২ প্রকার।
০৮/মামলার প্রথম শুনানীর সময় বা লিখিত জবাব দাখিলের (যেটা আগে ঘটে) তার কত দিনের মধ্যে বিচার্য বিষয় প্রনয়ন করতে হবে?
উ:১৫ দিন।
০৯/বিচার্য বিষয় প্রনয়ণের কত দিনের ভিতর আদালত সেই মামলার শুনানির তারিখ স্থিরীকৃত করবে?
উ:১২০ দিন।
১০/আদালত বিচার্য বিষয় সংশোধন বা কর্তন করতে পারে----?
উ:ডিক্রি প্রদানের পূর্বে যে কোন সময়।
বি:দ্র:এটা সম্পূর্ণ আমার সম্পাদনা।এরকম আরো পোস্ট পেতে আমার সাথে থাকবেন।
সকলের সফলতা কামনায় --------- সুব্রত আচার্য
এলএল.বি.&এলএল.এম.(ই.বি.)
মোজাম্মেল হক

Sunday, July 2, 2017

পড়াশুনা ২

এডভোকেটশীপ প্রিপারেশন
-----------------------
পরীক্ষা ২০১৭,২১ জুলাই
পূর্ব প্রকাশের পর থেকে।
★পর্ব ৩১তম
ধারা ৪৪২। আপিল ও রিভিশন।(★★)
ধারা ৪৬৪।(আসামী উন্মাদ হলে যে কার্যপদ্ধতি করতে হবে।(★★)
ধারা ৪৭৬।১৯৫ ধারায় উল্লিখিত ক্ষেত্রে কার্যপদ্ধতি। (★★★)
ধারা ৪৮০।আদালত অবমাননার কতিপয় ক্ষেত্রে কার্যপদ্ধতি। (★★★★)
ধারা ৪৮৪।আত্নপমর্পন বা ক্ষমা প্রার্থনা করলে অপরাধীর অব্যাহতি।(★★)
ধারা ৪৯১।হেবিয়াস কর্পাস জাতীয় নির্দেশ দানের ক্ষমতা।(★★★★★★★)
ধারা ৪৯২ পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগের ক্ষমতা।(★★★★★★)
ধারা ৪৯৩।পাবলিক প্রসিকিউটর সকল আদালতে তার দায়িত্ব ন্যস্ত সকল মোকদ্দমা পরিচালনা করতে পারেন।(★★★★)
ধারা ৪৯৪।মোকদ্দমা পরিচালনা প্রত্যাহারের ফল।(★★★★★★)
ধারা ৪৯৬।যে সকল ক্ষেত্রে জামিন মন্জুর করা যাবে।(★★★★★★★★)
ধারা ৪৯৭।যখন জামিনের অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন মন্জুর করা যাবে।(★★★★★★★★)
ধারা ৪৯৮।জামিন মন্জুর ও জামিনের অর্থের পরিমান হ্রাসের ক্ষমতা।(★★★★★★★)
ধারা ৪৯৯।আসামী ও জামিনদারের মুচলেকা। (★★★)
ধারা ৫০০।হেফাজত হতে ডিসচার্জ। (★★★)
ধারা ৫০২।জামিনদারের অব্যাহতি।(★★★★★)
ধারা ৫০৩।যখন সাক্ষীর উপস্থিতি বাদ দেওয়া যায়(★★★★★)
ধারা৫০৭।কমিশন প্রত্যর্পণ। (★★)
ধারা ৫০৯।চিকিৎসক স্বাক্ষির জবানবন্দী। (★★★)
ধারা ৫৬১ক।হাইকোর্ট বিভাগের অন্তর্নিহিত ক্ষমতা অক্ষুণ্ণ থাকবে।(★★★★★)
ইহা একটি ধারাবাহিক প্রকাশনা।৩২তম পর্ব চলমান থাকবে---------
ধারাভিত্তিক বিস্তারিত আলোচনা মূল বই থেকে পড়ে নিবেন।...
(বি:দ্র:যত বেশি স্টার ★ চিহ্ন ধারাটি তত বেশি গুরুত্বপূর্ণ।)
সকলের সফলতা কামনায় --------- সুব্রত আচার্য
এলএল.বি.;এলএল.এম.(ই:বি:)
বিএসএস( সম্মান)অর্থনীতি,এমএস এস(অর্থনীতি)জা:বি:
ডিপ্-ইন-সার্ভে(ময়নামতি)
প্রভাষক (অর্থনীতিতে নিবন্ধিত )
এক্স অর্থনীতি শিক্ষক
মেরনসান ও মেরিট বাংলাদেশ কলেজ।

পড়াশুনা

এডভোকেটশীপ প্রিপারেশন
-----------------------
পরীক্ষা ২০১৭,২১ জুলাই
পূর্ব প্রকাশের পর থেকে।
★পর্ব ২৯ তম
বিষয়:ফৌজদারী কার্যবিধি।
#################
ধারা৩৭৪।দায়রা আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেশ।(★★★★★★)
ধারা ৩৭৫।আরও অনুসন্ধান করার অথবা অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণের নির্দেশ দানের ক্ষমতা। (★★)
ধারা ৩৭৬।হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক দণ্ড বহাল অথবা বাতিলের ক্ষমতা।(★★★)
ধারা ৩৮২।গর্ভবতী স্ত্রীলোকের মৃত্যুদণ্ড স্থগিতকরণ।(★★★★★)
ধারা ৩৮৬।জরিমানা আদায়ের পরোয়ানা।(★★)
ধারা ৩৯৯। তরুণ অপরাধীকে চরিত্র সংশোধনী প্রতিষ্ঠানে আটক রাখা।(★★★)
ধারা ৪০১।দন্ড স্থগিত বা মওকূফ  করার ক্ষমতা।(★★★★★★)
ধারা ৪০২।দণ্ড রদ বদলের ক্ষমতা।(★★★)
ধারা ৪০৩।একবার দণ্ডিত হলে বা খালাস পেলে একই অপরাধের জন্য পুনরায় কারো বিচার করা যাবে না।(★★★★★★★)
ধারা ৪০৪।বিধান অনুসারে না হলে আপীল চলবে না।(★★★★)
ধারা ৪০৫।ক্রোককৃত সম্পত্তি প্রত্যর্পনের আবেদন অগ্রাহ্য  হলে তার বিরুদ্ধে আপীল।(★★★★)
ধারা ৪০৬।শান্তিরক্ষা বা সদাচারনের মুচলেকার আদেশের বিরুদ্ধে আপীল।(★★★)
ধারা  ৪০৭।দ্বিতীয় বা তৃতীয়  শ্রেনির ম্যাজিস্ট্রেট প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল।(★★★★★★★)
ধারা ৪০৮।যুগ্ম দায়রা জজ বা প্রথম শ্রেনির ম্যাজিস্ট্রেটের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল।(★★★★★★★)
ধারা ৪০৯।দায়রা আদালতে আপিল যেভাবে শুনানি(★★)
ধারা ৪১০।দায়রা আদালতের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপীল।(★★★★★★★)
-------------
ইহা একটি ধারাবাহিক প্রকাশনা।৩০ তম পর্ব চলমান থাকবে---------
ধারাভিত্তিক বিস্তারিত আলোচনা মূল বই থেকে পড়ে নিবেন।...
(বি:দ্র:যত বেশি স্টার ★ চিহ্ন ধারাটি তত বেশি গুরুত্বপূর্ণ।)
সকলের সফলতা কামনায় ----------সুব্রত আচার্য
এলএল.বি.; এল এল.এম.(ই:বি:)
বি এস এস( সম্মান)অর্থনীতি,                                        এম এস এস(অর্থনীতি)জা:বি:
ডিপ্-ইন-সার্ভে(ময়নামতি)
প্রভাষক (অর্থনীতিতে নিবন্ধিত )
এক্স অর্থনীতি শিক্ষক
মেরনসান ও মেরিট বাংলাদেশ কলেজ।

Mozammel Hoq

অবশেষে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ নিশ্চিত হল


প্রসঙ্গটা পুরোনো, তথ্যটাও। ২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সরাসরি খেলবে কি না, এ নিয়ে প্রায় দুই বছর ধরেই হিসাব-নিকাশ চলছিল। তবে এ নিয়ে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন নাজমুল হাসান। বিসিবি সভাপতির দাবি, ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আটেই থাকবে বাংলাদেশ। এর মানে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ খেলতে কোনো রকম বাছাইপর্বের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যে প্রায় নিশ্চিত, সেটা বোঝা গিয়েছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে ছয়ে চলে আসে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গেও পয়েন্ট ব্যবধান বাড়িয়ে ১৪ করে ফেলেন মাশরাফিরা। এরপরও যদি কোনো সন্দেহ থাকে, সেটা দূর করে দিয়েছে আফগানিস্তান। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে দেয় তারা। ফলে সরাসরি বিশ্বকাপে যাওয়ার উইন্ডিজ-স্বপ্ন বড় এক ধাক্কা খায়। এরপর ভারতের কাছে দুই ওয়ানডেতে উইন্ডিজের হার আর জিম্বাবুয়ের কাছে শ্রীলঙ্কার হার বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে একদম নিরাপদ অবস্থানে।

এ খবরটাই আজ নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আগেও বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে বাছাইপর্ব খেলতে হবে না। এখন পর্যন্ত যে হিসাব, কারও মনে হচ্ছে না, বাংলাদেশকে সেটা খেলতে হবে। সেদিক থেকে বলতে পারি বাংলাদেশ এবার সরাসরি খেলবে। এ ব্যাপারে আইসিসি যেভাবে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে, আমরাও তাই করছি। কারণ, পয়েন্টের ব্যবধান এত বেশি যে অন্য কিছু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।’

৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে ইংল্যান্ড ও র‍্যাঙ্কিংয়ের বাকি শীর্ষ সাত দল বিশ্বকাপে নিশ্চিতভাবে খেলবে। বাকি দুটি দলকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে হলে পেরোতে হলে বাছাইপর্ব। এ সময়ে বাংলাদেশের কোনো ম্যাচ না থাকলেও শ্রীলঙ্কা খেলছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজও ভারতের পর খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে, দুই দল সব ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশকে আটের বাইরে পাঠাতে পারবে না। ফলে বাছাইপর্ব নিয়ে ভাবনাচিন্তা এখন শ্রীলঙ্কা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের।

Friday, June 16, 2017

এই বছরের সেরা ছবি

সেলুট ইউ বস

Mozammel Hoq

Wednesday, June 14, 2017

খোশ আমদেদ হে মাহে রমাযান

রমজানের হউক প্রতিটি রোজা হউক আত্মশুদ্ধি ও সিয়াম সাধনায়।

Saturday, June 3, 2017

কোটি টাকা ইজ নাথিং

অর্থমন্ত্রী বলেছেন- 'যার ব্যাংক একাউন্টে একবার ১ লাখ টাকা জমা পড়েছে সে যথেষ্ট সম্পদশালী, তা থেকে ৮০০ টাকা আবগারি শুল্ক সে দিতে পারবে'।  খবরটি শোনার পর হতে খুশিতে আগডুম বাগডুম করছি। লোকে আগে থেকেই কেন জানি আমাকে 'যথেষ্ট সম্পদশালী' ভাবে! এই মানবিক কার্পণ্যের বাজারে অন্যের হৃদয়ে উচ্চাসন পাওয়াটা এমনিতেই দুষ্কর- কে আর খামোখা অন্যের ভুল ভাঙিয়ে গরীব হতে চায়! নিজের নামে কোন জমি, ফ্ল্যাট, গাড়ি, বাড়ি, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার বিনিয়োগ, ব্যবসা- বানিজ্য, সুইস ব্যাংকে একাউন্ট কিছুই না থাকলেও অর্থমন্ত্রী কর্তৃক এই 'সলভেন্সি সার্টিফিকেট' পেয়ে নিজেকে বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট এর সমপর্যায়ের মনে হচ্ছে! কেউ আমাকে 'যথেষ্ট সম্পদশালী' বললে আমি তখন  মুচকি হাসি দেই- লোকের চোখে জেগে উঠা সম্ভ্রম রক্ষা হলো, আবার আমাকে মিথ্যে বলার 'পাপ' ও করতে হলো না!

এখন থেকে অবশ্য 'পাপী' হতে হবে। 'আবগারি শুল্ক' এর ইংরেজি নাম যে 'Sin Tax' সেটি আজ সকালেই জানলাম প্রথম আলোতে কামাল আহমেদ এর আর্টিকেলের মাধ্যমে। ব্যাংকে কারো একাউন্টে ১ লাখ টাকা বছরের যে কোন সময় জমা হলেই 'যথেষ্ট সম্পদশালী' হওয়ার 'পাপ- ট্যাক্স' হিসেবে ৮০০ টাকা কেটে নেওয়া হবে। সারা দুনিয়াতে 'ইনকাম' এর উপরে ট্যাক্স বসে, এই দেশেও প্রতিমাসে 'ইনকাম- ট্যাক্স' কেটে নেওয়া হচ্ছে কিন্তু কারো ১ লাখ টাকার ব্যাংক স্থিতির উপরে 'পাপ- ট্যাক্স' বসানোর নজির বিশ্বে বেনজির।

অর্থনীতির ছাত্র না হয়েও বুঝি যে 'ইনকাম' আর 'ডিপোজিট' এক নয়। কারো ব্যাংক একাউন্টে ১ লাখ টাকা জমা পড়া মানেই সেটি তাঁর 'ইনকাম' নাও হতে পারে। হতে পারে: পিতা-মাতা তাদের সন্তানের পড়াশোনার বার্ষিক খরচটি ব্যাংকে 'ডিপোজিট' করেছেন, হতে পারে দুরারোগ্য ব্যাধি আক্রান্ত কারো চিকিৎসা তহবিলে সাহায্যের অংকটি 'ডিপোজিট' করা হয়েছে।

আবার কারো ব্যাংক একাউন্টে কোন মাসে ১ লাখ টাকা জমা পড়ার অর্থতো এই নয় যে বছরের ১২ মাস ধরে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা তার আয়, লাখোপতি ঐশ্বর্যবান! কেউ হয়তো দিনের পর দিন, মাসের পর মাস অমানুষিক পরিশ্রম করে সারা বছরে এই ১ লাখ টাকা সঞ্চয় করতে পেরেছে- তাঁর যক্ষের ধনে এমন তস্কর হানা!

বছরের কোন একদিনে ব্যাংক একাউন্টে ১ লাখ টাকা জমা পড়ার অপরাধে 'পাপ- ট্যাক্স' কেটে নেওয়ার পরে অর্থমন্ত্রী সার্টিফিকেট দিবেন-  'আপনি যথেষ্ট সম্পদশালী' আর কর্তিত টাকা জমা পড়বে সরকারি লোকসানি ব্যাংকের দারিদ্র্য সারাতে। তারপর 'দেওলিয়া' ঘোষিত কোটিপতি চোরেরা আমাদের রক্ত- ঘামে কামানো টাকা থেকে দেওয়া ৪ হাজার কোটি টাকা ম্যাজিকের মতো লোপাট করে নিয়ে যাবে আর আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী তখনো বলে যাবেন-

'পৃথিবীর সব দেশের ব্যাংকেই চুরি হয় এন্ড ৪ হাজার কোটি টাকা ইজ নাথিং'!
Sources: https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10213567011034703&id=1385425964

Tuesday, April 25, 2017

আবারও সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য সরাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী


সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য সরানোর কথা আবার বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ১১ এপ্রিল তিনি ওই ভাস্কর্য সরানোর পক্ষে মত দেওয়ার পর থেকে দেওয়ার পর থেকে তা নিয়ে সমালোচনা চলছে।
সোমবার গণভবনে দলের এক সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “সরাতে হবে কেন-এটা নিয়ে চিৎকার।
“সরাতে হবে না কেন? তারা কি দেখছেন না; গ্রিক আর এখন গ্রিক নাই। এটা অর্ধ গ্রিক, অর্ধ বঙ্গ। বঙ্গগ্রিক হয়ে গেছে ওটা। এটা কি উনাদের চোখে পড়েনি?”
রোমান যুগের ন্যায়বিচারের প্রতীক ‘লেডি জাস্টিস’র আদলে একটি ভাস্কর্য কিছুদিন আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয়।
এরপর থেকে হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামী সংগঠন তার বিরোধিতায় নামে। হেফাজত এই ভাস্কর্য সরানোর দাবি জানিয়ে সরকারকে ৫ মে মতিঝিলে ফের সমাবেশের হুমকি দেয়। ওলামা লীগও তা অপসারণের দাবি জানায়।
এরপর ১১ এপ্রিল হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফী নেতৃত্বাধীন এক দল ওলামার সঙ্গে গণভবনে বৈঠকে শেখ হাসিনা ভাস্কর্যটি সরাতে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
সোমবারের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা হল গ্রিক গডেস অফ জাস্টিস.. থেমেসিস। গ্রিক স্ট্যাচুকে যখন শাড়ি পরিয়ে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হলো.. সেটাই চিফ জাস্টিসকে বলেছিলাম, এই গ্রিক স্ট্যাচুতে আপনি শাড়ি পরাতে গেলেন কেন?”
“গ্রিক স্ট্যাচুকে বিকৃত করতে হবে কেন? নিজে কত লম্বা, পাল্লাটা কত লম্বা.. ঠিক ঠিকানা নাই। বানিয়ে খাড়া করে দিল। গ্রিককে এখন বাঙালি বানানো হল।”
ভাস্কর মৃণাল হকের সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এই রকম ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “স্ট্যাচু আমাদের দেশে বহু আছে, থাকবে। কিন্তু হাই কোর্টের মতো জায়গায় একটা স্ট্যাচু করা হবে .. এটা তো হাজার হাজার বছরের পুরনো, সব দেশে তো এটা নাই। আমাদের দেশে হঠাৎই এটা বানাতে হবে কেন?”
সুপ্রিম কোর্টের সামনেই ঈদগাহ থাকার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “লাগানো যখন হয়েছে.. এখানে অসুবিধা হলো, ঈদগাহ। সেখানে আমাদের ঈদের নামাজ হয়। ঠিক সেই সময়টা সামনে এসে পড়ে। সকলের মন মানসিকতা তো এক না। নামাজের সময় এটা চোখে পড়বে।”
সেখানে এধরনের ভাস্কর্য স্থাপনে নিজের আপত্তির কথা জানিয়ে তা সরানোর প্রক্রিয়ার কথা কবলেন তিনি।
“সেটা যাতে চোখে না পড়ে আড়াল করে দেওয়া অথবা রিমুভ করা।”
এনিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চিফ জাস্টিসকে প্রকাশ্যে বলিনি। তার সাথে যখন দেখা হয়েছে, তাকে বলেছি। এটা ঠিক হয়নি।
“এটা করতে হলে চিফ জাস্টিসের সকলের সঙ্গে আলোচনা করা উচিৎ ছিল। কোন জায়গাটায় এটা বসবে, সেটাও দেখা উচিত ছিল।”

Wednesday, April 5, 2017

কোর্ট ম্যারেজ আসলে কোনো বিয়েই নয়

অ্যাফিডেভিট করা যাবে। আবেগঘন সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক তরুণ-তরুণীর ভুল ধারণা হয় যে, কেবল অ্যাফিডেভিট করে বিয়ে করলে বন্ধন শক্ত হয়। ধারণাটি সম্পূর্ণ রুপে ভুল।
আমাদের সমাজে অনেক উঠতি বয়সি ছেলেমেয়ে, প্রেমিক-প্রেমিকারা কোর্ট ম্যারেজ বা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে। আইনের দিক থেকে এই কোর্ট ম্যারেজ অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে কতটা নির্ভরশীল সে সম্পর্কে কোনো সঠিক ধারণা না রেখেই অনেকেই আবেগকে প্রশ্রয় দিয়ে এই কোর্ট ম্যারেজ করে।
কোর্ট ম্যারেজ কি:
কোর্ট ম্যারেজ বলে আইনে নির্দিষ্ট করে সঠিক কিছু উল্লেখ নেই। যুবক-যুবতী বা নারী-পুরুষ স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একত্রে বসবাস করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে যে হলফনামা সম্পাদন করে তা-ই ‘কোর্ট ম্যারেজ’ নামে পরিচিত। বিয়ে বা বন্ধন হিসেবে আলাদাভাবে এর কোনো (কোর্ট ম্যারেজ) আইনগত ভিত্তি নেই।
এ রকম কোনো বিয়ে (কোর্ট ম্যারেজ) যদি কাজী অফিসে নিবন্ধন না করা হয় তাহলে আইনগত কোনো ভিত্তি থাকে না। কোর্ট ম্যারেজ বিয়ের একটি ঘোষণা মাত্র। বৈধ উপায়ে বিয়ে করে কাজীর কাছ থেকে নিবন্ধন করিয়ে নিয়ে তবেই কেউ ‘কোর্ট ম্যারেজ’ বা অ্যাফিডেভিট করতে পারেন। নিবন্ধন বা কাবিননামা যদি না থাকে তবে অ্যাফিডেভিটে আইনগত অধিকার আদায় করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।
যদি কোনো এক সময় (স্বামী-স্ত্রী) বা যে কোন পক্ষ থেকেই বিবাহ বন্ধন ত্যাগ করেন তাহলে আইনগত কোনো প্রতিকার পাওয়া যাবে না, যদি কিনা কাজীর কাছ থেকে নিবন্ধন করিয়ে না নেয়া হয়।
দুইশত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিক কিংবা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে গিয়ে হলফনামা করাকে কোর্ট ম্যারেজ বলে অভিহিত করা হয়। এফিডেভিট বা হলফনামা (কোর্ট ম্যারেজ) একটি ঘোষণা মাত্র।
সঠিক পুদ্ধতিতে কাবিননামা রেজিস্ট্রি বা নিবন্ধন সম্পূর্ণ করতে হলে কাজীর নিকট যেতেই হবে। যদি কাবিন নিবন্ধন করা না হয় তাহলে স্ত্রী মোহরানা আদায় করতে ব্যর্থ হবে। আইন অনুযায়ী তার বিয়ে প্রমাণ করাই মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে।
মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪ এর ধারা ৫(২) অনুযায়ী, যে ক্ষেত্রে একজন নিকাহ-রেজিস্ট্রার ছাড়া অন্য ব্যক্তি দ্বারা বিবাহ অনুষ্ঠিত হয় সে ক্ষেত্রে বর বিবাহ অনুষ্ঠানের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিকাহ-রেজিস্ট্রারের কাছে একটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
ধারা ৫(৪) অনুযায়ী এ আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে দুই বছর পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।
সুতরাং, কোর্ট ম্যারেজ আসলে কোনো বিয়েই নয়। বিয়ের ঘোষণা মাত্র কেবল। বৈধ উপায়ে বিয়ে করে ও নিবন্ধকের (কাজীর) কাছে সেটির নিবন্ধন করিয়ে নিয়ে তবেই কেউ ‘কোর্ট ম্যারেজ’ বা অ্যাফিডেভিট করে নিতে পারে। নিবন্ধন বা কাবিননামা না থাকলে কেবল অ্যাফিডেভিটে আইনগত কোন প্রকার অধিকার আদায় করা সম্ভব নয়।
Source : freedombd24

Tuesday, March 28, 2017

মহিলা সিটে পুরুষ বসলে ১ মাসের কারাদণ্ড

যানবাহনে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে পুরুষ যাত্রী বসলে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেয়া হবে।
এছাড়া চালক হওয়ার জন্য ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস এবং চালকের সহকারী হতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা থাকতে হবে।
প্রস্তাবিত ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭’-এ এমন বিধান রাখা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টায় সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন আইনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তৈরি করা এ আইন অনুযায়ী, কোনো চালক গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বললে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশকে নতুন আইনে পরিণত করা হয়েছে।
তিনি জানান, নতুন আইনে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে, পরিবর্তন আনা হয়েছে শাস্তিতেও। এতে গাড়ি চালনায় ২৫টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগের আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো শর্ত ছিল না। নতুন আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য চালককে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে।
আর চালকের সহকারী হতে হলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া থাকতে হবে এবং বাধ্যতামূলকভাবে লাইসেন্স নিতে হবে বলে জানান তিনি।
শফিউল আলম জানান, কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড দেয়া হবে।
অন্যদিকে চালকের সহকারীর লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
তিনি বলেন, গাড়ি চালনার জন্য চালকের বয়স আগের মতই কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। আর পেশাদার চালকদের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২১ বছর।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন আইন পাস হলে কেউ গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
তিনি জানান, এ আইন ভাঙলে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। আর এমন অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় চালকদের গ্রেফতার করতে পারবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালালে এক বছর কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে। আর পাল্লা দিয়ে (রেসিং) চালানোর সময় দুর্ঘটনা ঘটলে, সে ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
তবে দুর্ঘটনার জন্য মৃত্যু বা অন্যান্য ক্ষেত্রে আগের মতোই দণ্ডবিধি অনুযায়ী শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। ব্যাখ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কেউ যদি গাড়ি চালিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নরহত্যা করে, তাহলে ৩০২ ধারা অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে। আর মৃত্যু নয়, এমন ঘটনায় ৩০৪ ধারা অনুযায়ী সাজা দেয়া হবে। শুধু দুর্ঘটনা হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, চালকরা যাতে আইন মেনে চলেন, সেজন্য পয়েন্টভিত্তিক ব্যবস্থা চালু হবে। মোট ১২ পয়েন্ট বরাদ্দ থাকবে। বিভিন্ন অপরাধের জন্য চালকের পয়েন্ট কাটা যাবে। পয়েন্ট শূন্য হয়ে গেলে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।
আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট আইন-২০১৭ এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট (সংশোধন) আইন ২০১৭-এর খসড়ারও নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সুত্র-যুগান্তর

Friday, March 10, 2017

প্রথম বাংলাদেশি শীর্ষ ধনীদের তালিকায় সালমান এফ রহমান

প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় উঠে এসেছে ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি বেক্সিকো গ্রুপের কর্ণধার ও ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান। চীনের গবেষণাপ্রতিষ্ঠান হুরুন গ্লোবাল বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় বাংলাদেশ থেকে একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে সালমান এফ রহমানের নাম উঠে এসেছে।হুরুন গ্লোবাল বলছে, বর্তমানে বিশ্বে শীর্ষ ধনকুবের রয়েছে দুই হাজার ২৫৭ জন। ৬৮ দেশের শীর্ষ ধনকুবেরদের এই তালিকায় বাংলাদেশি হিসেবে সালমান এফ রহমান রয়েছেন ১৬৮৫তম অবস্থানে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার বলে হুরুন গ্লোবাল জানিয়েছে। হুরুন গ্লোবালের চেয়ারম্যান হুজওয়ার্ফ বলেছেন, বিশ্বের সম্পদ কুক্ষিগত হচ্ছে ধনকুবেরদের হাতে। তবে ধনকুবেরদের জন্য এটি আরেকটি ভালো বছর। তালিকার ১০৩৭ ধনকুবেরের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়া চলতি বছরের ধনকুবের তালিকায় যোগ হয়েছে নতুন ৩৪৩ মুখ। তবে এরমধ্যে ৭৪০ জনের সম্পদের পরিমাণ কমে গেছে। এছাড়া গত বছরের তালিকায় থাকা ২৭৬ জন তাদের জায়গা হারিয়েছেন। এছাড়া ধনকুবের রাজধানী হিসেবে তালিকায় উঠে এসেছে বেইজিং। হুরুন গ্লোবালের ওই তালিকায় ৬০৯ ধনকুবের নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে চীন; দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র (৫৫২ ধনকুবের)। হুজওয়ার্ফ বলেছেন, বিশ্বের অর্ধেক ধনকুবের রয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে।গত বছর আরব আমিরাত থেকে ১৬ জন ধনকুবেরের নাম উঠে এলেও এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ২১। দেশটির অবস্থান ১৯। জিসিসিভূক্ত অন্য দেশগুলো থেকে কোনো ব্যক্তি এই তালিকায় জায়গা পায়নি। অপরদিকে, ১১ জন ভারতীয় ধনকুবের এ বছর তাদের অবস্থান হারিয়েছে।দেশটির ১০০ জন ধনকুবেরের নাম রয়েছে ওই তালিকায়। গত বছর তৃতীয় অবস্থানে জায়গা করে নিলেও এ বছর সেই অবস্থান থেকে ছিটকে ৪র্থ স্থানে রয়েছে দেশটি। জার্মানি উঠে এসেছে তৃতীয় স্থানে।   তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ ধনীর ৮ জনই যুক্তরাষ্ট্রের। মাইক্রোসফটের প্রধান বিল গেটস এ বছরও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী হিসেবে তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন। তার সম্পদের পরিমাণ ৮১০০ কোটি ডলার।এরপরই আছেন ওয়ারেন বাফেট, জেফ বেজশ, আমানসিও ওর্তেগা, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ, লেরি ইলিসন, কার্লোস স্লিম হেলু ও তার পরিবার, ডেভিড কোচ, চার্লস কোচ ও মাইকেল ব্লুমবার্গ। তবে র্শীষ ১০ ধনীর তালিকায় এ বছর নতুন কোনো মুখ জায়গা পায়নি। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই তালিকার ৩৯৫ তম অবস্থানে রয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ধনকুবের ট্রাম্পের সম্পদের পরিমাণ ৪৫০ কোটি ডলার।  এসআইএস/পিআর।

Wednesday, March 8, 2017

খাদিজাকে হত্যাচেষ্টায় বদরুলের যাবজ্জীবন

সিলেটের কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় একমাত্র আসামি বদরুল আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে বদরুলকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাঁকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বদরুল। পরে তাঁকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রায়ে আদালত বলেন, প্রেমের বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি। মানুষের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা থাকতেই পারে। কিন্তু তার জন্য এ ধরনের নৃশংসতা, নিষ্ঠুরতা ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড কাম্য হতে পারে না।
আদালত বলেন, আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দেশের জন্য নারীদের অবদান উল্লেখ করার মতো। আজকের এই রায় নারীদের সুরক্ষায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
মামলার বাদী খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বলেন, রায়ে তাঁরা সন্তুষ্ট। সবার প্রতি তাঁরা কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে এই রায় যাতে বহাল থাকে, সেই প্রত্যাশা তাঁর।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, ‘আমরা অপরাধীর অপরাধ প্রমাণ করতে পেরেছি। অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে। আজ একটি বিশেষ দিন। এই দিনে এমন রায় নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ভূমিকা রাখবে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী বলেন, তাঁর মক্কেল ন্যায়বিচার পাননি। তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। 

রায় ঘোষণার পর বদরুলকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় বদরুল সবার উদ্দেশে জোর গলায় বলেন, তাঁর কিছু হবে না। 

গত রোববার মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। পরে বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ৮ মার্চ তারিখ ধার্য করেন।
মামলাটি ১ মার্চ সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরিত হয়। এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মামলার ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে সবশেষ সাক্ষী হিসেবে খাদিজার সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র বদরুল। ঘটনার পরপরই জনতা ধাওয়া দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা বদরুলকে আটক করে পুলিশে দেয়।
সংকটাপন্ন অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর খাদিজার অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৮ নভেম্বর তাঁকে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) ভর্তি করা হয়।
সিআরপিতে চিকিৎসা শেষে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সিলেটে নিজ বাড়িতে ফেরেন খাদিজা।
আদালত সূত্র জানায়, খাদিজার ওপর হামলার ঘটনায় তাঁর চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে শাহপরান থানায় মামলা করেন।
গত ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত ৮ নভেম্বর আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ১৫ নভেম্বর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২৯ নভেম্বর বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শুরু হয়। আজ আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
Source : Prothom alo.

International Women's Day 2017 events

Today's international women's day. Each year International Women's Day sees thousands of events - global gatherings, conferences, awards, exhibitions, festivals, fun runs, corporate events, concert performances, speaking events, online digital gatherings and more. Events are held by women's networks, corporations, charities, educational institutions, government bodies, political parties, the media and further communities.

Friday, March 3, 2017

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, হাইকোর্টে স্থগিত

দুই ধাপে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তির দ্বিতীয় ধাপের কার্যকারিতা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল জারিসহ এ আদেশ দেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
পরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম জানান, দ্বিতীয় দফায় গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত দিয়ে জারি করা বিজ্ঞপ্তি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে আগামী ১ জুন থেকে ৯০০ এবং ৯৫০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে।
একই সঙ্গে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে গ্যাসের মূল্য বাড়ানো কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনটি করেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কনজুমার কমপ্লেইন হ্যান্ডলিং ন্যাশনাল কমিটির আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
আদালতে সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর ৩৪ ধারায় বলা হয়েছে, কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ট্যারিফ কোন অর্থবছরে একবারের বেশি পরিবর্তন করা যাবে না। যদি না জ্বালানি মূল্যের পরিবর্তনসহ অন্য কোনো রূপ পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু সরকার ২৩ তারিখ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ১ মার্চ ও ২ জুন থেকে দুই দফায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায়।
২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিইআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাম বাড়ার ঘোষণা দেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম।
বিইআরসির ঘোষণা অনুযায়ী, মার্চ থেকে প্রতি চুলা গ্যাসের জন্য খরচ করতে হবে ৭৫০ টাকা, এটা জুনে গিয়ে বেড়ে দাঁড়াবে ৯০০ টাকায়। আর মার্চ থেকে দুই চুলা গ্যাসের জন্য খরচ হবে ৮০০ টাকা, যা জুনে গিয়ে বেড়ে দাঁড়াবে ৯৫০ টাকায়।
অন্যদিকে মার্চ থেকে প্রতি ঘনমিটার সিএনজি গ্যাসের দাম হবে ৩৮ টাকা। এটা জুনে গিয়ে দাঁড়াবে ৪০ টাকায়। মার্চ থেকে গ্যাসের বাণিজ্যিক ইউনিটপ্রতি খরচ হবে ১৪ দশমিক ২০ টাকা, আর জুন থেকে এ ক্ষেত্রে খরচ হবে ১৭ দশমিক ৪০ টাকা। বর্তমানে প্রতি চুলা গ্যাসের দাম রাখা হচ্ছে ৬০০ টাকা এবং দুই চুলা ৬৫০ টাকা।

Tuesday, February 21, 2017

অমর একুশে

আমাদের জাতীয় জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন আজ। মহান শহীদ দিবস। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও আজ। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পশ্চিমাঞ্চলের শাসকগোষ্ঠী পূর্বাঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিকে তাদের অধীন করে রাখার পরিকল্পনা করে। এর অংশ হিসেবে প্রথমেই তারা বাঙালিদের ভুলিয়ে দিতে চায় তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষাই হওয়া উচিত রাষ্ট্রভাষা- এ বাস্তব সত্য অস্বীকার করে বাংলার পরিবর্তে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রয়াস পায় তারা। উদ্দেশ্য ছিল মাতৃভাষা কেড়ে নিয়ে বাঙালির জাতিসত্তাকে পঙ্গু করে দেয়া। কিন্তু এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে বাঙালি। শুরু হয় বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। একপর্যায়ে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভরত ছাত্র-জনতার ওপর চালানো হয় গুলি। শহীদ হন বরকত, সালাম, রফিক, জব্বারসহ অনেকে।
বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনে যোগ করে নতুন মাত্রা। শহীদদের রক্ত তাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে প্রেরণা জোগায়। এর পরের ইতিহাস পর্যায়ক্রমিক আন্দোলনের। ’৫৪-র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বিজয়, আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-র স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই, ’৬৯-র গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ এবং ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠা লাভ করে বাঙালির স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ। বাঙালি মুক্ত হয় ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ থেকে। বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের প্রতিটি পর্যায়ে ’৫২-র ভাষা আন্দোলন অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। তাই একুশ আমাদের জাতীয় জীবনে এক অন্তহীন প্রেরণার উৎস।

স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সাড়ে চার দশক পেরিয়ে গেছে। এ দীর্ঘ সময়ে আমাদের অর্জন কী- এ প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই নিহিত রয়েছে আমরা একুশের শহীদদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা দেখাতে পারছি কি-না। দেশ অনেকটাই এগিয়েছে বলা যায়। কিন্তু একুশে ফেব্রুয়ারির আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে যেসব তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, সেগুলোর কি নিষ্পত্তি করতে পেরেছি আমরা? বাংলা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে সত্য, কিন্তু তা কি চালু করা সম্ভব হয়েছে সর্বস্তরে? একুশের অন্যতম চেতনা ছিল- রাষ্ট্রীয় জীবনে অসাম্য, বৈষম্য, দুর্বলের ওপর সবলের আধিপত্য ইত্যাদি থাকবে না। এই মহৎ আকাক্সক্ষার বাস্তবায়ন ঘটেছে কি? বাঙালির ঐতিহ্য, কৃষ্টি, আবহমানকালের সংস্কৃতি ইত্যাদি সমুন্নত রাখার ঐক্যবদ্ধ সমন্বিত প্রচেষ্টা কি লক্ষ্য করা যাচ্ছে সমাজে? চিন্তার দিক থেকে আমরা হব আন্তর্জাতিক, কিন্তু পরিচয়ে থাকব বাঙালি- এই ধারায় কি যাপন করছি জীবন? এসব প্রশ্নের উত্তর সন্তোষজনক নয়। বিতর্ক রয়েছে, বিশ্বায়নের যুগে ভিন্ন সভ্যতা, ভিন্ন সংস্কৃতির যে অবাধ প্রবাহ, তাতে আমরা অবগাহন করব কি-না। আকাশ সংস্কৃতির ফলে ভিনদেশের যেসব বিষয় আমাদের বিনোদিত করে, সেগুলো আমরা গ্রহণ করব কি-না। এ বিতর্কের মীমাংসা হতে পারে বিষয়টিকে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচারের মাধ্যমে। প্রথমত, আমরা যেহেতু বাঙালি সেহেতু বাঙালিত্বকে সমুন্নত রাখতে হবে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র একটি জাতি হিসেবে নিজস্ব সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সমুন্নত রেখেই ভিন্ন সংস্কৃতি-কৃষ্টির সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া ঘটাতে হবে। ভাষার প্রশ্নে বলতে হয়- আমাদের জীবন চলবে মাতৃভাষার মাধ্যমে। তবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য শিখতে হবে সাধ্যমতো অন্য ভাষাও।

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এর অর্থ পৃথিবীর সব মাতৃভাষাই স্ব স্ব জাতির নিজস্ব ও অপরিবর্তনযোগ্য ভাষা। সব মাতৃ ও আঞ্চলিক ভাষাকেই সমান মর্যাদা দিয়ে সংরক্ষণের দায়িত্বও রয়েছে বিশ্ববাসীর। একুশের শহীদদের প্রতি জানাই আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। শহীদ স্মৃতি অমর হোক।

sources: http://www.jugantor.com/editorial/2017/02/21/102933/%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A7%87

Saturday, February 18, 2017

এখন অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট

যা যা করতে হবেঃ
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে হলে কিছু নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে। সেগুলো হলো, আবেদনকারীর পাসপোর্টে উল্লিখিত স্থায়ী কিংবা বর্তমান ঠিকানার যেকোনও একটি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন কিংবা জেলা পুলিশের আওতাধীন এলাকায় থাকতে হবে। আবেদনকারীকে কিংবা যার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছে, তাকে অবশ্যই ওই ঠিকানার বাসিন্দা হতে হবে।
বিদেশে অবস্থানকারী কোনও ব্যক্তির পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে হলে তিনি যে দেশে অবস্থান করছেন, সে দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি তার পক্ষে করা আবেদনের সঙ্গে দিতে হবে।
মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) ক্ষেত্রে যদি পাসপোর্টে ঠিকানা উল্লেখ না থাকে সেক্ষেত্রে ঠিকানার প্রমাণ স্বরূপ জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র বা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্রের ফটোকপি প্রথম শ্রেণির সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তার মাধ্যমে সত্যায়িত করে দাখিল করতে হবে।
যেভাবে আবেদন করতে হবে
বিদেশগামী বা বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকরা দেশে বা দেশের বাইরে যেকোনও স্থান থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঠিকানায় pcc.police.gov.bd অথবা বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটে ( www.police.gov.bd )গিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স মেন্যুতে ক্লিক করে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। কম্পিউটার কিংবা মুঠোফোনেও আবেদন করা যাবে। আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় দলিলাদি এবং সরকারি ফি পরিশোধের চালান স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। আবেদনকারীর ব্যক্তিগতভাবে থানায়ও যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
আবেদন ফরমের প্রথম ধাপে ব্যক্তিগত বিস্তারিত তথ্য, দ্বিতীয় ধাপে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা পুরণ করতে হবে। তৃতীয় ধাপে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে। পূরণকরা সকল তথ্য চতুর্থ ধাপে দেখা যাবে। আবেদনে কোনও ভুল থাকলে তা আগের ধাপগুলোতে গিয়ে সংশোধন করা যাবে। তবে চতুর্থ ধাপে আবেদনটি সাবমিট করার পর সংশোধনের আর কোনও সুযোগ থাকবে না। আবেদন ফরমের পঞ্চম ধাপে ফি পরিশোধ করার জন্য Pay Offline বাটনে ক্লিক করতে হবে। চালানের মাধ্যেমে ৫০০ টাকা ফি পরিশোধের উপায় এবং পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সেখানে কিছু নির্দেশনা থাকবে। সেসব নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। চালানের মূল কপিটি আপলোড করার আগে অবশ্যই এর ওপর অ্যাপ্লিকেশন রেফারেন্স নম্বরটি লিখে দিতে হবে। অন্যথায় আপনার পেমেন্টটি গ্রহণযোগ্য হবেনা এবং আবেদনটি বাতিল হয়ে যাবে।
আবেদনকারী তার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা অনলাইনে নিয়মিত জানতে পারবেন। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর, পুলিশ সুপার কিংবা উপ-পুলিশ কমিশনারের প্রতিস্বাক্ষর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন হওয়ার পর আবেদনকারী ব্যক্তিগতভাবে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় অথবা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের ওয়ান স্টপ সার্ভিস কাউন্টার থেকে হাতে হাতে নিতে পারেন। কুরিয়ার বা ডাকে পেতে চাইলে আবেদন করার সময় উল্লেখ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ডাক বা কুরিয়ার ফি পরিশোধ সাপেক্ষে আবেদনকারী ঘরে বসে সার্টিফিকেট পেতে পারেন।
অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রে একটি কিউআর কোড প্রিন্ট করা থাকে। যে কোনও স্মার্ট ফোন থেকে কিউআর কোড স্ক্যানার অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে কোডটি স্ক্যান করলে ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের একটি অনলাইন লিংক পাওয়া যাবে। যেকোনও ইন্টারনেট ব্রাউজার ব্যবহার করে লিংকটি ভিজিট করলে ইস্যু করা সার্টিফিকেটের একটি অবিকল ডিজিটাল কপি কম্পিউটারে দেখা যাবে। ফলে এখন থেকে ইস্যুকৃত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জাল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকবে না এবং যে কোন বিদেশি মিশন অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যাচাই করতে পারবে।
Apply Now
Soure: BD Police
Mozammel

চেক প্রতারণায় করণীয়

চেক নিয়ে প্রতারিত হলে কি করবেন ঃ
ধরা যাক, আপনি এক ব্যক্তির কাছে এক লাখ টাকা পান। লোকটির কাছে টাকা চাইতে গেলে তিনি এক লাখ টাকার একটি চেক দিলেন। আপনি চেকটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিলেন। কিন্তু ব্যাংক ‘অপর্যাপ্ত ফান্ড’ দেখিয়ে চেকটি ডিজঅনার করল।
আপনি কয়েক দিন পর আবারও টাকা তুলতে গেলেন; কিন্তু এবারও বলা হলো, যিনি আপনাকে চেকটি ইস্যু করেছেন, তাঁর অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা নেই। আপনি মহাচিন্তায় পড়ে গেলেন। চেকদাতার কাছে বারবার চেয়েও আর লাভ হলো না।
এখন আপনি কী করবেন? কিন্তু এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। প্রচলিত আইনেই আছে উপায়। পাওনাদারের কাছে যদি এমন চেকের মাধ্যমে প্রতারিত হন, তাহলে চাইলেই আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। এই অপরাধের বিচারের জন্য হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১ নামের একটি আইন রয়েছে। এই আইনের ১৩৮ নম্বর ধারায় আপনি প্রতারক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিকার পেতে পারেন।
কীভাবে চাইবেন প্রতিকারমনে রাখতে হবে, চেক ডিজঅনারের ক্ষেত্রে কিছু সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে গেলে আর প্রতিকার পাওয়া যায় না। প্রথমেই যেটি জেনে রাখতে হবে তা হলো, যেকোনো চেক ইস্যু করার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে ব্যাংকে উপস্থাপন না করলে চেকটির কার্যকারিতা আর থাকে না।
এ ক্ষেত্রে প্রতিকার পাওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে, চেকটি ইস্যুর তারিখ থেকে ছয় মাস সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে ক্যাশ করার জন্য জমা দিতে হবে।চেকটি ব্যাংক থেকে ডিজঅনার হওয়ার পর থেকে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের জন্য চেক প্রদানকারীকে লিখিতভাবে নোটিশ দিতে হবে। প্রথমে চেষ্টা করতে হবে নোটিশটি ব্যক্তিগতভাবে সরাসরি চেক প্রদানকারীর ওপর জারি করতে। যদি এ ক্ষেত্রে সম্ভব না হয়, তাঁর বাসস্থান বা যে স্থানে তিনি সর্বশেষ কাজ করেছেন, সেই ঠিকানায় প্রাপ্তি স্বীকার রসিদসহ (এডি) ডাকযোগে নোটিশ পাঠাতে হবে।
উল্লেখ্য, নোটিশটি ফেরত না এলেও নোটিশটি চেক প্রদানকারীর ওপর সঠিকভাবে জারি হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে। নোটিশ জারির তৃতীয় পদ্ধতিটি হচ্ছে, একটি বহুল প্রচারিত জাতীয় পত্রিকায় নোটিশটি প্রকাশ করা। ওই নোটিশে চেক প্রদানকারীকে টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ দিনের সময় বেঁধে দিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে চেক প্রদানকারী টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে এ সময় পার হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।
কোনোভাবেই নোটিশ প্রেরণ না করে সরাসরি মামলা করা যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হলে এই আইনের ১৩৮ ধারার পাশাপাশি ১৪০ ধারা উল্লেখ করে মামলা করতে হবে। এ ধরনের নোটিশ জারি ও মামলা করার জন্য আপনি একজন আইনজীবীর শরণাপন্ন হতে পারেন।
কোথায় করতে হয় মামলাএ ধরনের অভিযোগ নালিশি মামলা বা সিআর মামলা হিসেবে মহানগর এলাকা হলে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অথবা মহানগরের বাইরে হলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করতে হবে। চেকটি যে ব্যাংকে ডিজঅনার হয়েছে, সেই ব্যাংকের এলাকা যে আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে রয়েছে, সেই আদালতে করতে হবে। তবে এ অপরাধের মূল বিচার হবে দায়রা আদালতে। দায়রা আদালত ইচ্ছা করলে যুগ্ম দায়রা আদালতে মামলাটি বিচারের জন্য পাঠাতে পারেন।
যা দাখিল করতে হয়মামলা করার সময় আদালতে মূল চেক, ডিজঅনারের রসিদ, আইনি নোটিশ বা বিজ্ঞপ্তির কপি, পোস্টাল রসিদ, প্রাপ্তি রসিদ আদালতে প্রদর্শন করতে হবে। এসবের ফটোকপি ফিরিস্তি আকারে মামলার আবেদনের সঙ্গে দাখিল করতে হয়।মনে রাখতে হবে, একবার চেক ডিজঅনার হলে একবার অপরাধ সংঘটিত হয়।
কোনো কারণে যদি প্রথমবার চেকটি ডিজঅনার হওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে নোটিশ না পাঠাতে পারেন, তাহলে দ্বিতীয়বার চেকটি ডিজঅনার করাতে পারেন। এভাবে একাধিকবার ডিজঅনার করিয়ে নোটিশ পাঠাতে পারেন। তবে একবার চেক ডিজঅনার হলে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলা করা হলে এক অপরাধের জন্য বারবার মামলা করা যাবে না।
শাস্তিচেক ডিজঅনার অপরাধের শাস্তি হচ্ছে, এক বছর মেয়াদ পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা চেকে বর্ণিত অর্থের তিন গুণ পরিমাণ অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডেও দণ্ডিত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপিলের সুযোগ আছে। তবে আপিল করার পূর্বশর্ত হচ্ছে, চেকে উল্লেখিত টাকার কমপক্ষে শতকরা ৫০ ভাগ যে আদালত দণ্ড প্রদান করেছেন, সেই আদালতে জমা দিতে হবে।
Source: ফ্রীডমবিডি২৪

Friday, February 17, 2017

FUNDAMENTAL RIGHTS

 PART III FUNDAMENTAL RIGHTS 

Art: 26. Laws inconsistent with fundamental rights to be void. (1) All existing law inconsistent with the provisions of this Part shall, to the extent of such inconsistency, become void on the commencement of this Constitution. (2) The State shall not make any law inconsistent with any provisions of this Part, and any law so made shall, to the extent of such inconsistency, be void. (3) Nothing in this article shall apply to any amendment of this Constitution made under article 142 .

27. Equality before law. All citizens are equal before law and are entitled to equal protection of law. 

28. Discrimination on grounds of religion, etc. (1) The State shall not discriminate against any citizen on grounds only of religion, race caste, sex or place of birth. (2) Women shall have equal rights with men in all spheres of the State and of public life. (3) No citizen shall, on grounds only of religion, race, caste, sex or place of birth be subjected to any disability, liability, restriction or condition with regard to access to any place of public entertainment or resort, or admission to any educational institution. (4) Nothing in this article shall prevent the State from making special provision in favour of women or children or for the advancement of any backward section of citizens. 

29. Equality of opportunity in public employment. (1) There shall be equality of opportunity for all citizens in respect of employment or office in the service of the Republic. (2) No citizen shall, on grounds only of religion, race, caste, sex or place of birth, be ineligible for, or discriminated against in respect of, any employment or office in the service of the Republic. (3) Nothing in this article shall prevent the State from - (a) making special provision in favour of any backward section of citizens for the purpose of securing their adequate representation in the service of the Republic; (b) giving effect to any law which makes provision for reserving appointments relating to any religious or denominational institution to persons of that religion or denomination; reserving for members of one sex any class of employment or office on the ground that it is considered by its nature to be unsuited to members of the opposite sex. 

30. Prohibition of foreign titles, etc. No citizen shall, without the prior approval of the President, accept any title, honour, award or decoration from any foreign state. 

31. Right to protection of law. To enjoy the protection of the law, and to be treated in accordance with law, and only in accordance with law, is the inalienable right of every citizen, wherever he may be, and of every other person for the time being within Bangladesh, and in particular no action detrimental to the life, liberty, body, reputation or property of any person shall be taken except in accordance with law.

 32. Protection of right to life and personal liberty. No person shall be deprived of life or personal liberty save in accordance with law. 

33. Safeguards as to arrest and detention. (1) No person who is arrested shall be detained in custody without being informed, as soon as may be of the grounds for such arrest, nor shall he be denied the right to consult and be defended by a legal practitioner of his choice. (2) Every person who is arrested and detained in custody shall be produced before the nearest magistrate within a period of twenty four hours of such arrest, excluding the time necessary for the journey from the place of arrest to the court of the magistrate, and no such person shall be detained in custody beyond the said period without the authority of a magistrate. (3) Nothing in clauses (1) and (2) shall apply to any person- (a) who for the time being is an enemy alien; or (b) who is arrested or detained under any law providing for preventive detention. (4) No law providing for preventive detention shall authorise the detention of a person for a period exceeding six months unless an Advisory Board consisting of three persons, of whom two shall be persons who are, or have been, or are qualified to be appointed as, Judges of the Supreme Court and the other shall be a person who is a senior officer in the service of the Republic, has, after affording him an opportunity of being heard in person, reported before the expiration of the said period of six months that there is, in its opinion, sufficient cause for such detention. (5) When any person is detained in pursuance of an order made under any law providing for preventive detention, the authority making the order shall, as soon as may be, communicate to such person the grounds on which the order has been made, and shall afford him the earliest opportunity of making a representation against the order. (6) Parliament may be law prescribe the procedure to be followed by an Advisory Board in an inquiry under clause (4) .

 34. Prohibition of forced labour. (1) All forms of forced labour are prohibited and any contravention of this provision shall be an offence punishable in accordance with law. (2) Nothing in this article shall apply to compulsory labour. (a) by persons undergoing lawful punishment for a criminal offence; or required by any law for public purpose. 

35. Protection in respect of trial and punishment. (1) No person shall be convicted to any offence except for violation of al law in force at the time of the commission of the act charged as an offence, nor be subjected to a penalty greater than, or different from that which might have been inflicted under the law in force at the time of the commission of the offence. (2) No person shall be prosecuted and punished for the same offence more than once. (3) Every person accused of a criminal offence shall have the right to a speedy and public trial by an independent and impartial court or tribunal established by law. (4) No person accused of any offence shall be compelled to be a witness against himself. (5) No person shall be subjected to torture or to cruel, inhuman, or degrading punishment or treatment. (6) Nothing in clause (3) or clause (5) shall affect the operation of any existing law which prescribes any punishment or procedure for trial. 

36. Freedom of movement. Subject to any reasonable restrictions imposed by law in the public interest, every citizen shall have the right to move freely throughout Bangladesh, to reside and settle in any place therein and to leave and re-enter Bangladesh.

 37. Freedom of assembly. Every citizen shall have the right to assemble and to participate in public meetings and processions peacefully and without arms, subject to any reasonable restrictions imposed by law in the interests of public order health. 

38. Freedom of association. Every citizen shall have the right to form associations or unions, subject to any reasonable restrictions imposed by law in the interests of morality or public order;

 39. Freedom of thought and conscience, and of speech. (1) Freedom or thought and conscience is guaranteed. (2) Subject to any reasonable restrictions imposed by law in the interests of the security of the State, friendly relations with foreign states, public order, decency or morality, or in relation to contempt of court, defamation or incitement to an offence- (a) the right of every citizen of freedom of speech and expression; and freedom of the press, are guaranteed. 

40. Freedom of profession or occupation. Subject to any restrictions imposed by law, every citizen possessing such qualifications, if any, as may be prescribed by law in relation to his profession, occupation, trade or business shall have the right to enter upon any lawful profession or occupation, and to conduct any lawful trade or business.

 41. Freedom of religion. (1) Subject to law, public order and morality- (a) every citizen has the right to profess, practice or propagate any religion; (b) every religious community or denomination has the right to establish, maintain and manage its religious institutions. (2) No person attending any educational institution shall be required to receive religious instruction, or to take part in or to attend any religious ceremony or worship, if that instruction, ceremony or worship relates to a religion other than his own. 

42. Rights to property. (1) Subject to any restrictions imposed by law, every citizen shall have the right to acquire, hold, transfer or otherwise dispose of property, and no property shall be compulsorily acquired, nationalised or requisitioned save by authority of law. (2) A law made under clause (1) shall provide for the acquisition, nationalisation or requisition with compensation and shall either fix the amount of compensation or specify the principles on which, and the manner in which, the compensation is to be assessed and paid; but no such law shall be called in question in any court on the ground that any provision in respect of such compensation is not adequate. (3) Nothing in this article shall affect the operation of any law made before the commencement of the Proclamations (Amendment) Order, 1977 (Proclamations Order No. I of 1977), in so far as it relates to the acquisition, nationalisation or acquisition of any property without compensation. 

43. Protection of home and correspondence. Every citizen shall have the right, subject to any reasonable restrictions imposed by law in the interests of the security of the State, public order, public morality or public health- (a) to be secured in his home against entry, search and seizure; and to the privacy of his correspondence and other means of communication. 

 44. Enforcement of fundamental rights. (1) The right to move the High Court Division in accordance with clause (I) of article 102 for the enforcement of the rights conferred by this Part of guaranteed. (2) Without prejudice to the powers of the High Court Division under article 102, Parliament may be law empower any other court, within the local limits of its jurisdiction, to exercise all or any of those powers. 

45. Modification of rights in respect of disciplinary. Nothing in this Part shall apply to any provision of a disciplinary law relating to members of a disciplined force, being a provision limited to the purpose of ensuring the proper discharge of their duties or the maintenance of discipline in that force. 

46. Power to provide indemnity. Notwithstanding anything in the foregoing provisions of this Part, Parliament may be law make provision for indemnifying any person in the service of the Republic or any other person in respect of any act done by him in connection with the national liberation struggle or the maintenance or restoration of other in any area in Bangladesh or validate any sentence passed, punishment inflicted, forfeiture ordered, or other act done in any such area. 

47. Saving for certain laws. (1) No law providing for any of the following matters shall be deemed to be void on the ground that it is inconsistent with, or takes away or abridge, any of the rights guaranteed by this Part- (a) the compulsory acquisition, nationalisation or requisition of any property, or the control or management thereof whether temporarily or permanently; (b) the compulsory amalgamation of bodies carrying on commercial or other undertakings; (c) the extinction, modification, restriction or regulation of rights of directors, managers, agents and officers of any such bodies, or of the voting rights of persons owning shares or stock (in whatever form) therein; (d) the extinction, modification, restriction or regulation of rights of search for or win minerals or mineral oil; (e) the carrying on by the Government or by a corporation owned, controlled or managed by the Government, of any trade, business, industry or service to the exclusion, complete or partial, or other persons; or (f) the extinction, modification, restriction or regulation of any right to property, any right in respect of a profession, occupation, trade or business or the rights of employers or employees in any statutory public authority or in any commercial or industrial undertaking; if Parliament in such law (including, in the case of existing law, by amendment) expressly declares that such provision is made to give effect to any of the fundamental principles of state policy set out in Part II of this Constitution. (2) Notwithstanding anything contained in this Constitution the laws specified in the First Schedule (including any amendment of any such law) shall continue to have full force and effect, and no provision of any such law, nor anything done or omitted to be done under the authority of such law, shall be deemed void or unlawful on the ground of inconsistency with, or repugnance to, any provision of this Constitution; 24 Provided that nothing in this article shall prevent amendment, modification or repeal of any such law. (3) Notwithstanding anything contained in this Constitution, no law nor any provision thereof providing for detention, prosecution or punishment of any person, who is a member of any armed or defence or auxiliary forces or who is a prisoner of war, for genocide, crimes against humanity or war crimes and other crimes under international law shall be deemed void or unlawful, or ever to have become void or unlawful, on the ground that such law or provision of any such law is inconsistent with, or repugnant to any of the provisions of this Constitution.

 47A. In applicability of certain articles. (1) The rights guaranteed under article 31. clauses (1) and (3) of article 35 and article 44 shall not apply to any person to whom a law specified in clause (3) of article 47 applies. (2) Notwithstanding anything contained in this Constitution, no person to whom a law specified in clause (3) of article 47 applies shall have the right to move the Supreme Court for any of the remedies under this Constitution. PART IV THE EXECUTIVE CHAPTER I – THE PRESIDENT

 48. The President. (1) There shall be a President of Bangladesh who shall be elected by members of Parliament in accordance with law. (2) The President shall as Head of State, take precedence over all other persons in the State, and shall exercise the powers and perform the duties conferred and imposed on him by this Constitution and by any other law. (3) In the exercise of all his functions, save only that of appointing the Prime Minister pursuant to clause (3) of article 56 and the Chief Justice pursuant to clause (1) of article 95, the President shall act in accordance with the advice of the Prime Minister; Provided that the question whether any, and if so what, advice has been tendered by the Prime Minister to the President shall not be enquired into in any court. (4) A person shall not be qualified for election as President if he- (a) is less than thirty-five years of age; or (b) is not qualified for election a member of Parliament; or (c) has been removed from the office of President by impeachment under this Constitution. (5) The Prime Minister shall keep the President informed on matters of domestic and foreign policy, and submit for the consideration of the Cabinet any matter which the President may request him to refer to it. 

49. Prerogative of mercy. The President shall have power to grant pardons, reprieves and respites and to remit, suspend or commute any sentence passed by any court, tribunal or other authority.

 50. Term of office of President. (1) Subject to the provisions of this Constitution, the President shall hold office for a term of five years from the date on which he enters upon his office; Provided that notwithstanding the expiration of his term the President shall continue to hold office until his successor enters upon office. (2) No person shall hold office as President for more than two terms, whether or not the terms are consecutive. (3) The President may resign his office by writing under his hand addressed to the Speaker. (4) The President during his term of office shall not be qualified for election as a member of Parliament, and if a member of Parliament is elected as President he shall vacate his seat in Parliament on the day on which he enters upon his office as President. 

 51. President's immunity. (1) Without prejudice to the provisions of article 

52, the President shall not be answerable in any court for anything done or omitted by him in the exercise or purported exercise of the functions of this office, but this clause shall not prejudice the right of any person to take proceedings against the Government. (2) During his term of office no criminal proceedings whatsoever shall be instituted or continued against the President in, and no process for his arrest or imprisonment shall issue from, any court. 
52. Impeachment of the President. (1) The President may be impeached on a charge of violating this Constitution or of grave misconduct, preferred by a notice of motion signed by a majority of the total number of members of the Parliament and delivered to the speaker, setting out the particulars of the charges, and the motion shall not be debated earlier than fourteen nor later than thirty days after the notice is so delivered; and the Speaker shall forthwith summon Parliament if it is not in session. (2) The Conduct of the President may be referred by Parliament to any court, tribunal or body appointed or designated by Parliament for the investigation of a charge under this article. (3) The President shall have the right to appear and to be represented during the consideration of the charge. (4) If after the consideration of the charge a resolution is passed by Parliament by votes of not less than two-thirds of the total number of members declaring that the charge has been substantiated, the President shall vacate his office on the date on which the resolution is passed. (5) Where the Speaker is exercising the functions of the President under article 54 the provisions of this article shall apply subject to the modifications that the reference to the Speaker in clause (1) shall be construed as a deference to the Deputy Speaker, and that the reference in clause (4) to the vacation by the President of his office shall be construed as a reference to the vacation by the Speaker of his office as Speaker; and on the passing of a resolution such as is referred to in clause (4) the Speaker shall cease to exercise the functions of President. 

53. Removal of President of ground of incapacity. (1) The President may be removed from office on the ground of physical or mental incapacity on a motion of which notice, signed by a majority of the total number of members of Parliament, is delivered to the Speaker, setting out particulars of the alleged incapacity. (2) On receipt of the notice the Speaker shall forthwith summon Parliament if it is not in session and shall call for a resolution constituting a medical board (hereinafter in this article called "the Board") and upon the necessary motion being made and carried shall forthwith cause a copy of the notice to be transmitted to the President together with a request signed by the Speaker that the President submit himself within a period of ten days from the date of the request to an examination by the Board. (3) The motion for removal shall not be put to the vote earlier than fourteen nor later than thirty days after notice of the motion is delivered to the Speaker, and if it is again necessary to summon Parliament in order to enable the motion to be made within that period, the Speaker shall summon Parliament. (4) The President shall have the right to appear and to be represented during the consideration of the motion. (5) If the President has not submitted himself to an examination by the Board before the motion is made in Parliament, the motion may be put to the vote, and if it is passed by the votes of not less than two-thirds of the total number of members of Parliament, the President shall vacate his office on the date on which the motion is passed. (6) If before the motion for removal is made is Parliament, the President has submitted himself to an examination by the Board, the motion shall not be put to the vote until the Board has been given an opportunity of reporting its opinion to Parliament. (7) If after consideration by Parliament of the motion and of the report of the Board (which shall be submitted within seven days of the examination held pursuant to clause (2) and if not so submitted shall be dispensed with) the motion is passed by the votes of not less than two-thirds of the total number of members of Parliament, the President shall vacate his office on the date on which the resolution is passed. 

54. Speaker to act as President during absence, etc. If a vacancy occurs in the office of President or if the President is unable to discharge the functions of his office on account of absence, illness or any other cause of Speaker shall discharge those functions until a President is elected or until the President resumes the functions of his office, as the case may be.