Welcome to Law Firm

Friday, July 31, 2020

❤❤ ঈদ মোবারক ❤❤


Thursday, July 30, 2020

উপলব্ধির বিষয়

উপলব্ধির বিষয়!

অনেকের গবেষণা মতে চীন ক্ষমতার লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য এই bioweapons নিয়ে কাজ করছিলো।

হয়ত এক্সিডেন্টলি অথবা পরিকল্পনামাফিক ভাইরাস নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।

আমেরিকা যখন nuclear weapons নিয়ে কাজ করছে 
তখন চায়না করছে bioweapons নিয়ে কাজ।

নাকের ডগায় বসে থেকে ভারত তিলে তিলে গড়ে তুলেছে তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
একটা বাটনে চাপলে ধুলায় মিশে যাবে অর্ধেক দুনিয়া।

ইজরাইলের মত রিফিউজি দেশ তারাও গড়ে তুলেছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃছিদ্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

আর বাংলাদেশ??
এই যুদ্ধে বাংলাদেশ কোথায়???

জাপানে ডিফেন্স ফোর্স তৈরীতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ছিলো। 

জাপান প্রতিরক্ষা খাতের পুরো অর্থই ট্রান্সফার করে দিলেন শিক্ষা খাতে।

যেখানে স্কুল লেভেলেই সহবৎ শেখানোর পাশাপাশি জাপান সামরিক কৌশলও শেখালো তার বাচ্চাদের।

এলিট ফোর্স নেই কিন্তু পুরো দেশের ১০০% নাগরিক যুদ্ধকৌশল শিখে বসে আছে। 

অন্যদিকে বাংলাদেশ, সরকারি তরফ থেকে তিলে তিলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে৷

বই থেকে মোরাল এডুকেশন তুলে দিয়েছে।
কোচিং সেন্টারের ব্যবসা চাঙ্গা করতে গিয়ে পুরো জেনারেশনকে খেলাধুলা থেকে বিরত রেখেছে। 

খাবারে ফরমালিন বিষ মিশিয়ে শারীরিক ভাবে দূর্বল জাতি তৈরি করেছে।

টাকার লোভে ডাক্তাররা মায়ের পেট কেটে সিজারের নামে লাখে লাখে প্রি ম্যাচিউর বেবি বের করে এনেছে।

টেলিযোগাযোগ কোম্পানি গুলো পরিকল্পনা করে ইয়াং জেনারেশনকে ফেসবুক আড্ডায় ঢুকিয়ে দিয়েছে।

জোর করে ছাত্রদের সরল রৈখিক রাজনীতিতে যুক্ত করা হয়েছে। 

একটা দেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করার জন্য যা যা করা সম্ভব তার সব কিছুই এপ্লাই করা হয়েছে৷ 

দেশের কোন স্ট্রং পররাষ্ট্র নীতি তৈরি হয়নি।
বিজ্ঞান গবেষণায় কোন বরাদ্দ নেই, কারো কোন আগ্রহ নেই। 

সবাইকে বিসিএস গাইড ধরিয়ে দিয়ে সরকারের অনুগত করা হয়েছে।

বেস্ট সেলিং এর দৌড়ে টিকে থাকতে কেউ এখন আর বুদ্ধিবৃত্তিক লেখাঝুকা করতে আগ্রহী নয়।

রাজনৈতিক দল গুলো মনের মাধুরী মিশিয়ে ইতিহাস বিকৃত করে চলেছে।

মোদ্দা কথা শিক্ষা, স্বাস্থ, পররাষ্ট্র নীতি, বিজ্ঞান, ইতিহাস, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, অর্থনীতি, পরিবেশ
যে কোন সূচকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ভয়াবহ অন্ধকার।

এখানে ফ্লাইওভার নির্মাণকে উন্নতি বলা হয়,
অথচ এই ফ্লাইওভার হাজারে হাজারে পরে আছে চায়নায়। 

একটা নিন্ম মানের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকে বিজয় ধরা হয়, 
অথচ নাসা ছুটে চলেছে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে।

একটা দেশ যার নিজেস্যতা বলে কিচ্ছু নেই।
নিজস্ব ট্রেডমার্ক নেই,
নিজস্ব আবিষ্কার নেই,
নিজস্ব পলিসি নেই,
নিজস্ব পন্য নেই।
এই দেশ নিয়ে গর্ব করার কি আছে আমি বুঝি না।

হাওয়ায় দেশ চলছে।
ব্যাংকে টাকা রাখবেন, টাকা হাওয়া হয়ে যাবে,
বুঝতেই পারবেন না৷

বিশ্ববিদ্যালয় বাচ্চাদের চাকুরীর জন্য তৈরি করবে
কিন্তু নতুন কোন আইডিয়া নিয়ে আলাপ হবে না।

আচ্ছা এই যে চীন আরো ৪০ বছর আগে থেকে ভাইরাস নিয়ে কাজ করছে এই তথ্য কেন বাংলাদেশের কাছে থাকবে না?

যেদেশের সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বানিজ্যিক সম্পর্ক৷ 

হাগু করতে গেলেও চাইনিজ কমড লাগে,
সেই দেশ কেন আগে থেকেই চায়নাকে অবজার্ভ করবে না? 

কেন তারা জানবে না যে আগামীকাল চায়না কেমন রিয়াক্ট করতে পারে?
কেন আগে থেকেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকবে না?

পুরোদস্তুর একটা খাদক (ভোক্তা) দেশ তৈরি হয়েছে।
যাকে বলে বাজার!
ভারতের বাজার, চায়নার বাজার, পাকিস্তানের বাজার, কোরিয়ার বাজার।

শুধু বাজারই না, ৩য় শ্রেণীর পন্য বিক্রি করার জন্য ২০ কোটি ক্রেতার এক বাজার।

যাকে স্লেভ বললেও ভুল হবে না। 
স্বাধীনতার তকমা জড়িয়ে থাকবে, 
কিন্তু আদতে দেশ, মন, মস্তিষ্ক বেচে বসে আছে অন্য দেশের কাছে।

যাদের নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই।
পুরোটাই পরগাছা।

একটা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য পর্যন্ত অন্য দেশের দিকে তাকিয়ে আছে।

যদি কাল এই ভ্যাকসিন না দেয় কেউ,
পুরো জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে৷ 

হুদাই বড় বড় ডায়লগ, বাঙ্গালী বীরের জাতি।

চায়না যখন আগামী ১০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর ক্ষমতা দখল করতে ব্যস্ত,
আমেরিকা যখন গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে রকেট ছুটিয়ে চলেছে, 
ভারত যখন একটার পর একটা নিউক্লিয়ার টেস্ট করছে

তখন আমরা ব্যস্ত এই গবেষণায় যে স্বাধীনতার ভাষণ কে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু না জিয়াউর রহমান?

দুনিয়া যখন স্পেস ট্রাভেল করছে 
তখন আমরা একটা মেট্রোরেল তৈরি করেই নিজেদের উন্নত জাতি বলে নিজেরাই নিজেদের পীঠ চুলকাচ্ছি।
আহা বাঙ্গালী!!

কথায় আছে মূর্খের রাজা হওয়া থেকে জ্ঞানীর চাকর হওয়া উত্তম...

Collected.

কোভিড-১৯ নিয়ে গুরত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

 এডভোকেট আবু মোহাম্মদ ইলিয়াছ ভুইয়ার ফেইসবুক ওয়াল থেকে হুবহু তুলে ধরা হয়েছে। 

বেকার সময়ে করোনা নিয়ে অনেক পড়াশুনা করে যা শিখলাম।সময় থাকলে পড়বেন। উপকারেও আসতে পার। আমি আগামী রবিবার ২১/০৬/২০২০ ইং তারিখ সকাল ১০ টা  থেকে চেম্বার কবর ইনশাহআল্লাহ।কেননা করোনা ভাইরাস দ্বারা ইনফেক্টট না হয়ে লুকিয়ে থাকার কোন সুযোগ নাই।কারন এই ভাইরাসের কোন লজ্জা সরম নাই।তাই এত সহজে যাচ্ছে না।খুব সম্ভবত সবার ভেকসিনেশন না হওয়া পর্যন্ত করোনা ভইরাসের এই করাল থাবা থেকে রক্ষার সুযোগ নাই।আর কবে যে ভেকসিন আসবে এবং আমাদের মত অসহায় মানুষের হাতে পৌছবে তার কোন ইয়ত্তা নাই।তাই জন্য সরকার বুঝে শুনে এমন একটা পদ্ধতি বেছে নিয়েছে যার নাম হলো হার্ড ইমিউন সিস্টেম। এইটা আবার কি?। প্রকৃতপক্ষে হার্ড ইমিউন সিস্টেম অর্থ হল, করোনা ভাইরাস সবাইকে ইনফেক্টট করুক আর সবার শরীরে আল্লাহ প্রদত্ত রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্হা যেটাকে ইমিউনিটি বলা হয়, তা তৈরী হউক।আসলেই অতীতের সকল মহামারীতে ভেকসিন আবিস্কার না হওয়া  পর্যন্ত এই সিস্টেমটাই অনুসরন করা হয়েছিল।অন্যদিকে বাংলাদেশে স্বাস্হ্য খাতের চিত্র একটু বলি।বিএমডিসির ওয়েবসাইডের সর্বশেষ তথ্য মতে বাংলাদেশে এমবিবিএস ডাক্তার হল ৯৩৩৫৮ জন আর দাত মহাশয়ের ডাক্তার হল ৯৫৬৯ জন। ধরলাম বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি।যেহেতু করোনা   ভাইরাস দাতের কোন ক্ষতি করে না তাই এই হিসাবে ডেন্টিস বাবুরা বাদ গেলে প্রতি ডাক্তার পেছনে রোগী হচ্ছে ১৮২০ জন।শুধু ডাক্তার, মানে আমাদের ন্যাশনাল হিরোদের দোষ দিয়ে লাভ নেই।কারন আপনি নিজেও ডাক্তার হলে কি এতো রোগীকে হ্যান্ডেল করতে পারতেন? কখনোই না----------।আরেকটা মজার তথ্য বলি, এতজন ডাক্তারের মধ্যে বিসিএস স্বাস্থ্য বা সরকারী ডাক্তারের সংখ্যা হল,২৫৬১৫ জন।চিন্তা করেন, ডাক্তারদের উপর কত লানত।আরেকটা হাসার তথ্য বলি।কেবল যাদের ধৈর্য্য আছে তাদের জন্য।স্বাভাবিক অবস্হায় প্রতি বছর অাইসিইউ সাপোর্ট লাগে বা যাদেরকে কৃটিক্যাল পেশেন্ট বলে তাদের সংখ্যা ৫০০০০ জন। বর্তমানে তো করোনার জন্য এই সংখ্যা অনেক বেশী। আসলে করোনা রোগীদের অনেক সময় icu  লাগে।তবে সব করোনা রোগীর ক্ষেত্রে লাগে না।নগন্য সংখ্যক করোনা রোগীর জন্য icu প্রয়োজন হয়।কখন হয় একটু বলি।আসলে করোনা ভাইরাস দুই রকম ভাবে মানব দেহে আঘাত করতে পারে। ১/ ফুসফুসের এ্যালভিইলির ভেতরে অবস্হিত এক ধরনের  কোষ নষ্ট করে। ফলে এ্যালভিইলি কুচকে গিয়ে রোগীর শ্বাস কষ্ট তৈরী করে। ২/ শরীরের রক্ত জমাট বেধে ফেলে। জমাট বদ্ধ এই রক্ত মাথায় গেলে স্ট্রোক,হার্টে গেলে হার্ট এ্যাটাক আর ফুসফুসে গেলে আবারো শ্বাস কষ্ট হবে।তখন কেবল  একজন করোনা রোগীর এইসব উপসর্গের ক্ষেত্রে icu প্রয়োজন হয়। বাস্তবপক্ষে icu তে যে রোগী যায়নি তিনি চিনবেন না।আমি এই বিষয়ে বলি। icc হলো রোগীর কৃটিক্যাল মোমেন্টে চিকিংসা দেওয়ার জন্য এমন একটা আধুনিক চিকিংসা ব্যবস্হা  যাতে আছে বিশেষ শয্যা,ভেন্টিলেটর, টিউব পাম্প,হার্টরেইট,ব্লাট প্রেসার সহ শরীরের অন্যান্য পরিস্হিতির চিত্র পাবার মনিটর সহ আরো আধুনিক সরন্জামাদি,আর দক্ষ ও উন্নত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডাক্তার, নার্স আর বিশেষ পোশাক।আগের হিসাবটা শেষ করি।করোনা রোগী ও অন্যান্য সেক্টরের কৃটিক্যাল রোগীর জন্য  বাংলাদেশে icu আছে ১১৬৯ টি। তারমধ্যে  সরকারী হাসপাতালে icu  মাত্র ৪৩২ টি আর রাগব বোয়ালদের দরবারে মানে বেসরকারী হাসপাতালে icu ৭৩৭ টি।সরকারী আর বেসরকারী হাসপাতালের icu যদি ২০% নষ্ট থাকে তাহলে এই সংখ্যা সরকারী ৩৪৫ টি আর বেসরকারী ৫৮০ টি icu.বেসরকারী হাসপাতালের icu  তে ব্যায় ভার আমার মত নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্তের দ্বারা বহন করা কোনদিন ও সম্ভব নয়।শেষে দেখবেন করোনার জন্য icu পাশ করলেও রাগব বোয়ালদের হাসপাতালের বিল দিতে না পেরে তাদের বাসার বাসন মাজার হাত থেকে রেহায় পাব না।তারপর আর বাদ থাকল সরকারী হাসপাতালের icu.  মনে আছে কি, তার সংখ্যা কয়টি? জি ৪৩২ টি।দেশের জন সংখ্যা মাথপিছু icu টা হিসাব আর কইরেন না।শেষে আবার ডিপ্রেশন এ যেতে হবে।তবে এতটুকু বলা যায় প্রতি লক্ষ্য জনসংখ্যার জন্য একটিও না। হাসির বিষয় হলো দেশে icu পরিচালনার জন্য আছে নগন্য সংখ্যক ডাক্তার আর নার্স।হিসাবটা নাইবা বললাম।আরেটা মজার তথ্য হল, সরকারী  ৪৩২ টি icu র মধ্যে শুধু ঢাকা শহরে আছে ৩২২ টি।আর বেসরকারী icu র মধ্যে ঢাকা শহর ও জেলা মিলিয়ে ৪৯৪ টি। আর সারা বাংলাদেশে সরকারী icu 110 টি আর বেসরকারী icu ২৪৩ টি।তাহলে আমি করোনা রোগ নিয়ে কৃটিক্যাল মোমেন্টে কেমনে ঢাকায় গিয়ে icu পাব? আরে ভাই এতক্ষণ বাচমুনি। বাচার একটা উপায় দেখা যাচ্ছে তা হলো প্লাজমা থেরাপি। আমি ভাই বাংগাল মানু, এইটা আবার কিতা ভাইয়ো? তাদের জন্য বলছি।প্লাজমা থেরাপী হলো, ইতিমধ্যেই যারা করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে সুস্হ হয়েছেন তাদের থেকে প্লাজমা নিয়ে অন্য রোগীকে দেয়া।প্লাজমা আবার কিতা? মানব রক্তে রক্তরস বা হালকা হলুদ রংগের  পানিই হলো প্লাজমা বা রক্তরস। এই রক্তরসেই থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা এ্যান্টিবডি। সুস্হ হওয়া করোনা  রোগীরও এই এ্যান্টিবডি যা রক্তরস বা প্লাজমাতে থাকে, সুস্হ হওয়ার দিন থেকে ২৮ দিনের মধ্যে  রক্ত নিয়ে রক্তরস বা প্লাজমা আলাদা করে অসুস্হ করোনা রোগীকে দেওয়া হয়। ভাই সত্যি কথা কি জানেন, লোক লজ্জায় এখন আর প্রকাশ করছে না কে সুস্হ হওয়া করোনা রোগী। অনেকে আবার দিতে চাইবে না।অনেককে আবার চিরবিদায় করে দিচ্ছে। তাই বলি একমাত্র করোনা রোগ বাচার উপায় আল্লাহর উপর ভরসা মানে মানব শরীরে আল্লাহ প্রদত্ত রোগ প্রতিরোধ শক্তি বা ইমিউনিটি সিস্টেম সঠিকভাবে বললে আল্লাহর উপর ভরসা করা। সময় দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
লিখকঃ

আইনজীবী সাতকানিয়া যুগ্ম জেলা জজ।