Welcome to Law Firm

Thursday, July 30, 2020

কোভিড-১৯ নিয়ে গুরত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

 এডভোকেট আবু মোহাম্মদ ইলিয়াছ ভুইয়ার ফেইসবুক ওয়াল থেকে হুবহু তুলে ধরা হয়েছে। 

বেকার সময়ে করোনা নিয়ে অনেক পড়াশুনা করে যা শিখলাম।সময় থাকলে পড়বেন। উপকারেও আসতে পার। আমি আগামী রবিবার ২১/০৬/২০২০ ইং তারিখ সকাল ১০ টা  থেকে চেম্বার কবর ইনশাহআল্লাহ।কেননা করোনা ভাইরাস দ্বারা ইনফেক্টট না হয়ে লুকিয়ে থাকার কোন সুযোগ নাই।কারন এই ভাইরাসের কোন লজ্জা সরম নাই।তাই এত সহজে যাচ্ছে না।খুব সম্ভবত সবার ভেকসিনেশন না হওয়া পর্যন্ত করোনা ভইরাসের এই করাল থাবা থেকে রক্ষার সুযোগ নাই।আর কবে যে ভেকসিন আসবে এবং আমাদের মত অসহায় মানুষের হাতে পৌছবে তার কোন ইয়ত্তা নাই।তাই জন্য সরকার বুঝে শুনে এমন একটা পদ্ধতি বেছে নিয়েছে যার নাম হলো হার্ড ইমিউন সিস্টেম। এইটা আবার কি?। প্রকৃতপক্ষে হার্ড ইমিউন সিস্টেম অর্থ হল, করোনা ভাইরাস সবাইকে ইনফেক্টট করুক আর সবার শরীরে আল্লাহ প্রদত্ত রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্হা যেটাকে ইমিউনিটি বলা হয়, তা তৈরী হউক।আসলেই অতীতের সকল মহামারীতে ভেকসিন আবিস্কার না হওয়া  পর্যন্ত এই সিস্টেমটাই অনুসরন করা হয়েছিল।অন্যদিকে বাংলাদেশে স্বাস্হ্য খাতের চিত্র একটু বলি।বিএমডিসির ওয়েবসাইডের সর্বশেষ তথ্য মতে বাংলাদেশে এমবিবিএস ডাক্তার হল ৯৩৩৫৮ জন আর দাত মহাশয়ের ডাক্তার হল ৯৫৬৯ জন। ধরলাম বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি।যেহেতু করোনা   ভাইরাস দাতের কোন ক্ষতি করে না তাই এই হিসাবে ডেন্টিস বাবুরা বাদ গেলে প্রতি ডাক্তার পেছনে রোগী হচ্ছে ১৮২০ জন।শুধু ডাক্তার, মানে আমাদের ন্যাশনাল হিরোদের দোষ দিয়ে লাভ নেই।কারন আপনি নিজেও ডাক্তার হলে কি এতো রোগীকে হ্যান্ডেল করতে পারতেন? কখনোই না----------।আরেকটা মজার তথ্য বলি, এতজন ডাক্তারের মধ্যে বিসিএস স্বাস্থ্য বা সরকারী ডাক্তারের সংখ্যা হল,২৫৬১৫ জন।চিন্তা করেন, ডাক্তারদের উপর কত লানত।আরেকটা হাসার তথ্য বলি।কেবল যাদের ধৈর্য্য আছে তাদের জন্য।স্বাভাবিক অবস্হায় প্রতি বছর অাইসিইউ সাপোর্ট লাগে বা যাদেরকে কৃটিক্যাল পেশেন্ট বলে তাদের সংখ্যা ৫০০০০ জন। বর্তমানে তো করোনার জন্য এই সংখ্যা অনেক বেশী। আসলে করোনা রোগীদের অনেক সময় icu  লাগে।তবে সব করোনা রোগীর ক্ষেত্রে লাগে না।নগন্য সংখ্যক করোনা রোগীর জন্য icu প্রয়োজন হয়।কখন হয় একটু বলি।আসলে করোনা ভাইরাস দুই রকম ভাবে মানব দেহে আঘাত করতে পারে। ১/ ফুসফুসের এ্যালভিইলির ভেতরে অবস্হিত এক ধরনের  কোষ নষ্ট করে। ফলে এ্যালভিইলি কুচকে গিয়ে রোগীর শ্বাস কষ্ট তৈরী করে। ২/ শরীরের রক্ত জমাট বেধে ফেলে। জমাট বদ্ধ এই রক্ত মাথায় গেলে স্ট্রোক,হার্টে গেলে হার্ট এ্যাটাক আর ফুসফুসে গেলে আবারো শ্বাস কষ্ট হবে।তখন কেবল  একজন করোনা রোগীর এইসব উপসর্গের ক্ষেত্রে icu প্রয়োজন হয়। বাস্তবপক্ষে icu তে যে রোগী যায়নি তিনি চিনবেন না।আমি এই বিষয়ে বলি। icc হলো রোগীর কৃটিক্যাল মোমেন্টে চিকিংসা দেওয়ার জন্য এমন একটা আধুনিক চিকিংসা ব্যবস্হা  যাতে আছে বিশেষ শয্যা,ভেন্টিলেটর, টিউব পাম্প,হার্টরেইট,ব্লাট প্রেসার সহ শরীরের অন্যান্য পরিস্হিতির চিত্র পাবার মনিটর সহ আরো আধুনিক সরন্জামাদি,আর দক্ষ ও উন্নত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডাক্তার, নার্স আর বিশেষ পোশাক।আগের হিসাবটা শেষ করি।করোনা রোগী ও অন্যান্য সেক্টরের কৃটিক্যাল রোগীর জন্য  বাংলাদেশে icu আছে ১১৬৯ টি। তারমধ্যে  সরকারী হাসপাতালে icu  মাত্র ৪৩২ টি আর রাগব বোয়ালদের দরবারে মানে বেসরকারী হাসপাতালে icu ৭৩৭ টি।সরকারী আর বেসরকারী হাসপাতালের icu যদি ২০% নষ্ট থাকে তাহলে এই সংখ্যা সরকারী ৩৪৫ টি আর বেসরকারী ৫৮০ টি icu.বেসরকারী হাসপাতালের icu  তে ব্যায় ভার আমার মত নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্তের দ্বারা বহন করা কোনদিন ও সম্ভব নয়।শেষে দেখবেন করোনার জন্য icu পাশ করলেও রাগব বোয়ালদের হাসপাতালের বিল দিতে না পেরে তাদের বাসার বাসন মাজার হাত থেকে রেহায় পাব না।তারপর আর বাদ থাকল সরকারী হাসপাতালের icu.  মনে আছে কি, তার সংখ্যা কয়টি? জি ৪৩২ টি।দেশের জন সংখ্যা মাথপিছু icu টা হিসাব আর কইরেন না।শেষে আবার ডিপ্রেশন এ যেতে হবে।তবে এতটুকু বলা যায় প্রতি লক্ষ্য জনসংখ্যার জন্য একটিও না। হাসির বিষয় হলো দেশে icu পরিচালনার জন্য আছে নগন্য সংখ্যক ডাক্তার আর নার্স।হিসাবটা নাইবা বললাম।আরেটা মজার তথ্য হল, সরকারী  ৪৩২ টি icu র মধ্যে শুধু ঢাকা শহরে আছে ৩২২ টি।আর বেসরকারী icu র মধ্যে ঢাকা শহর ও জেলা মিলিয়ে ৪৯৪ টি। আর সারা বাংলাদেশে সরকারী icu 110 টি আর বেসরকারী icu ২৪৩ টি।তাহলে আমি করোনা রোগ নিয়ে কৃটিক্যাল মোমেন্টে কেমনে ঢাকায় গিয়ে icu পাব? আরে ভাই এতক্ষণ বাচমুনি। বাচার একটা উপায় দেখা যাচ্ছে তা হলো প্লাজমা থেরাপি। আমি ভাই বাংগাল মানু, এইটা আবার কিতা ভাইয়ো? তাদের জন্য বলছি।প্লাজমা থেরাপী হলো, ইতিমধ্যেই যারা করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে সুস্হ হয়েছেন তাদের থেকে প্লাজমা নিয়ে অন্য রোগীকে দেয়া।প্লাজমা আবার কিতা? মানব রক্তে রক্তরস বা হালকা হলুদ রংগের  পানিই হলো প্লাজমা বা রক্তরস। এই রক্তরসেই থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা এ্যান্টিবডি। সুস্হ হওয়া করোনা  রোগীরও এই এ্যান্টিবডি যা রক্তরস বা প্লাজমাতে থাকে, সুস্হ হওয়ার দিন থেকে ২৮ দিনের মধ্যে  রক্ত নিয়ে রক্তরস বা প্লাজমা আলাদা করে অসুস্হ করোনা রোগীকে দেওয়া হয়। ভাই সত্যি কথা কি জানেন, লোক লজ্জায় এখন আর প্রকাশ করছে না কে সুস্হ হওয়া করোনা রোগী। অনেকে আবার দিতে চাইবে না।অনেককে আবার চিরবিদায় করে দিচ্ছে। তাই বলি একমাত্র করোনা রোগ বাচার উপায় আল্লাহর উপর ভরসা মানে মানব শরীরে আল্লাহ প্রদত্ত রোগ প্রতিরোধ শক্তি বা ইমিউনিটি সিস্টেম সঠিকভাবে বললে আল্লাহর উপর ভরসা করা। সময় দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
লিখকঃ

আইনজীবী সাতকানিয়া যুগ্ম জেলা জজ। 


0 comments:

Post a Comment