নামের মিলে ভুট্টো আড়াইবছর জেলে
অপরাধ না করেও নামের মিল থাকায় জোড়াখুনের অপরাধে দুই বছরের অধিক সময় ধরে কারাগারে আটক আছেন নুরুল আলম ওরফে ভুট্টো নামে এক ব্যক্তি। ঘটনার আড়াই বছর পর হত্যাকা-ে জড়িত থাকা ভুট্টোসহ দুই যুবক পিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এদিকে জোড়াখুনের মামলার বারো আসামির মধ্যে তিনজনকে বাদ দিয়ে নুরুল আলম ওরফে ভুট্টোসহ নয়জনের বিরুদ্ধে গত বছরের শেষের দিকে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিলে ধরা পড়ে খুনের ঘটনায় জড়িত আসল ভুট্টো। এছাড়া খুঁজে পাননি দাবি করে পূর্বের তদন্ত কর্মকর্তা যে তিনজনকে মামলা থেকে বাদ দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
বিনা অপরাধে এখনো কারাগারে আটক নূর আলম ওরফে ভুট্টো (৪০)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাসিন্দা। তিনি নগরীর বায়েজিদ উত্তর শান্তিনগর কসাই মালেকের ভাড়াটিয়া ছিলেন।
২০১৪ সালের ১৭ মার্চ নগরীর খুলশী থানার ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত সেপটিক ট্যাংক থেকে ওমরগনি এমইএস কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কামরুল হাসান ও পোশাক শ্রমিক ফোরকান উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্র কামরুলের বাবা আব্দুল হাকিম বাদি হয়ে নয় জনের নাম উল্লেখ করে খুলশী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় বাচা, সাহেদ, শাহআলম, জীবন, জাহাঙ্গীর, লেদু, ভুট্টো, আকাশ, বাহার নামে নয়জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়।
মামলায় বাদি আব্দুল হাকিম ভুট্টোসহ বেশ কয়েকজন আসামির পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা উল্লেখ করতে পারেননি। হত্যাকা-ের পর পুলিশ বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এরমধ্যে সাহেদ, শাহ আলম, বাহার, মো. সাদ্দাম ওরফে বাচা এবং প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে শাহ আলমের কথিত স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস এবং অপর এক তরুণী হত্যাকা-ের বিষয়ে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে আরো আলাউদ্দিন নামে আরো এক ব্যক্তি জড়িত থাকার কথা জানায় আসামিরা। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও খুলশী থানার এসআই রাসেল মিয়া কারাগারে আটক মো. নূর আলম ওরফে ভুট্টোকেসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন গত বছরের শেষের দিকে। নাম ঠিকানা খুঁজে পাননি উল্লেখ করে রমজান আলি ওরফে আকাশ ওরফে তুফান জবানবন্দিতে আসা আলাউদ্দিন নামে এক আসামিসহ তিনজনকে তদন্ত প্রতিবেদন থেকে বাদ দেন কর্মকর্তা। প্রতিবেদনটি আমলে না নিয়ে আদালত চলতি বছরের ১৫ মে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। এদিকে পিবিআই’র ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার পূজার ছুটিতে চট্টগ্রামে এলে এক ব্যক্তি তাঁকে জানান, কারাগারে যে ভুট্টো আটক আছেন তিনি জোড়াখুনের সাথে জড়িত নন। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখার জন্য পিবিআই সদস্যদের নির্দেশ দেন।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মঈন উদ্দিন জানান, আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে পিবিআই অধিকতর তদন্ত করতে গিয়ে গত রবিবার ভোররাতে রমজান আলী ওরফে তুফান ওরফে আকাশ ও আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। “তারা পুলিশকে জানায় মামলার অন্যতম আসামি মো. ভুট্টো ওরফে রাসেল পলাতক রয়েছে এবং কারাগারে আটক ভুট্টো খুনের ঘটনায় জড়িত নয়।” তাদের দেয়া তথ্যমতে রবিবার রাতে বায়েজিদ এলাকা থেকে ভুট্টো ওরফে রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভূট্টো ওরফে রাসেল খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সে আরো জানায়, ঘটনার পর পরই সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রায় এক বছর পলাতক থাকার পর সে নগরীতে ফিরে আসে।
এডিসি মঈন উদ্দিন বলেন, হত্যাকা-ে নিজে জড়িত থাকার পাশপাশি ভূট্টোর জড়িত থাকার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে গতকাল সোমবার মহানগর হাকিম হারুনর রশিদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃত রমজান আলি।
জানতে চাইলে মামলার সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রাসেল মিয়া বলেন, নাম ঠিকানা খুঁজে না পাওয়ায় তিনজনকে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন থেকে বাদ দিয়েছিলাম। সে সময় ভুট্টো নামে এক ব্যক্তি জেলে ছিল। তার বাসাও বায়েজিদ এলাকায়। তাকে আমি জোড়াখুনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছিলাম এবং রিমান্ডেও এনেছিলাম। রাসেল মিয়া বলেন, নাম এবং অন্য আসামিদের দেয়া তথ্যের মিল থাকায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়েছিলো।
বিনা অপরাধে এখনো কারাগারে আটক নূর আলম ওরফে ভুট্টো (৪০)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাসিন্দা। তিনি নগরীর বায়েজিদ উত্তর শান্তিনগর কসাই মালেকের ভাড়াটিয়া ছিলেন।
২০১৪ সালের ১৭ মার্চ নগরীর খুলশী থানার ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত সেপটিক ট্যাংক থেকে ওমরগনি এমইএস কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কামরুল হাসান ও পোশাক শ্রমিক ফোরকান উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্র কামরুলের বাবা আব্দুল হাকিম বাদি হয়ে নয় জনের নাম উল্লেখ করে খুলশী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় বাচা, সাহেদ, শাহআলম, জীবন, জাহাঙ্গীর, লেদু, ভুট্টো, আকাশ, বাহার নামে নয়জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়।
মামলায় বাদি আব্দুল হাকিম ভুট্টোসহ বেশ কয়েকজন আসামির পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা উল্লেখ করতে পারেননি। হত্যাকা-ের পর পুলিশ বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এরমধ্যে সাহেদ, শাহ আলম, বাহার, মো. সাদ্দাম ওরফে বাচা এবং প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে শাহ আলমের কথিত স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস এবং অপর এক তরুণী হত্যাকা-ের বিষয়ে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে আরো আলাউদ্দিন নামে আরো এক ব্যক্তি জড়িত থাকার কথা জানায় আসামিরা। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও খুলশী থানার এসআই রাসেল মিয়া কারাগারে আটক মো. নূর আলম ওরফে ভুট্টোকেসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন গত বছরের শেষের দিকে। নাম ঠিকানা খুঁজে পাননি উল্লেখ করে রমজান আলি ওরফে আকাশ ওরফে তুফান জবানবন্দিতে আসা আলাউদ্দিন নামে এক আসামিসহ তিনজনকে তদন্ত প্রতিবেদন থেকে বাদ দেন কর্মকর্তা। প্রতিবেদনটি আমলে না নিয়ে আদালত চলতি বছরের ১৫ মে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। এদিকে পিবিআই’র ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার পূজার ছুটিতে চট্টগ্রামে এলে এক ব্যক্তি তাঁকে জানান, কারাগারে যে ভুট্টো আটক আছেন তিনি জোড়াখুনের সাথে জড়িত নন। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখার জন্য পিবিআই সদস্যদের নির্দেশ দেন।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মঈন উদ্দিন জানান, আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে পিবিআই অধিকতর তদন্ত করতে গিয়ে গত রবিবার ভোররাতে রমজান আলী ওরফে তুফান ওরফে আকাশ ও আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। “তারা পুলিশকে জানায় মামলার অন্যতম আসামি মো. ভুট্টো ওরফে রাসেল পলাতক রয়েছে এবং কারাগারে আটক ভুট্টো খুনের ঘটনায় জড়িত নয়।” তাদের দেয়া তথ্যমতে রবিবার রাতে বায়েজিদ এলাকা থেকে ভুট্টো ওরফে রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভূট্টো ওরফে রাসেল খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সে আরো জানায়, ঘটনার পর পরই সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রায় এক বছর পলাতক থাকার পর সে নগরীতে ফিরে আসে।
এডিসি মঈন উদ্দিন বলেন, হত্যাকা-ে নিজে জড়িত থাকার পাশপাশি ভূট্টোর জড়িত থাকার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে গতকাল সোমবার মহানগর হাকিম হারুনর রশিদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃত রমজান আলি।
জানতে চাইলে মামলার সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রাসেল মিয়া বলেন, নাম ঠিকানা খুঁজে না পাওয়ায় তিনজনকে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন থেকে বাদ দিয়েছিলাম। সে সময় ভুট্টো নামে এক ব্যক্তি জেলে ছিল। তার বাসাও বায়েজিদ এলাকায়। তাকে আমি জোড়াখুনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছিলাম এবং রিমান্ডেও এনেছিলাম। রাসেল মিয়া বলেন, নাম এবং অন্য আসামিদের দেয়া তথ্যের মিল থাকায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়েছিলো।
সূত্রঃ দৈনিক পূর্বকোন।
0 comments:
Post a Comment