হঠাৎ উকিল নোটিশ পেলে করণীয় কি
উকিল নোটিশ পেলে কি করবেনঃ
হঠাৎ কোনো উকিল নোটিশ পেলে অনেকে ঘাবড়ে যান। নোটিশ পেয়ে দিগ্বিদিক ছুটে যান এর-ওর কাছে। কেউ যান আইনজীবীর চেম্বারে। পরিবারের সবাই যেন অস্থির হয়ে যান। কিন্তু উকিল নোটিশ পেয়ে কী করবেন, কী করবেন না—অনেকেই তা ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারেন না। কিন্তু উকিল নোটিশ মানে ফেলনাও নয়। এর আইনি গুরুত্ব রয়েছে। তবে আইনি নোটিশ আপনাকে আগে থেকে সতর্ক করতে পারে। আর অনেক অহেতুক মামলা-মোকদ্দমা থেকেও আপনি রেহাই পেতে পারেন। আদালতে যাওয়ার আগে সমস্যার সমাধান করারও সুযোগ থাকে।
আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ
মামলা পরিচালনার জন্য সাধারণত হাইকোর্টের নিবন্ধনযুক্ত আইনজীবীকে নোটিশে মাধ্যমে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জেলা জজ আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য জজ আদালতে মামলা পরিচালনা করেন এমন আইনজীবীকে দিয়ে উকিল নোটিশ পাঠাতে হয়। উকিল নোটিশ পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনজীবীকে ফি দিতে হয়। অধিকাংশ আইনজীবী উকিল নোটিশ দেওয়ার আগে ওকালতনামায় স্বাক্ষর নিয়ে নেন।
বিভিন্ন জায়গায় বা এলাকাতে অবস্থিত ল’ ফার্মগুলোতে আইনজীবীর খোঁজ নেওয়া যেতে পারে। আবার ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত আইনজীবী থাকলে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। হাইকোর্ট চত্বরে অবস্থিত সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে বিভিন্ন আইনজীবীর চেম্বার আছে। সে স্থানে খোজ নিয়ে অভিজ্ঞ আইনজীবীকে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।
মামলার দায়িত্ব দেওয়া
একটি মামলা পরিচালনা করতে হলে প্রথমে নিজ পছন্দের উকিল ঠিক করে ওকালতনামার মাধ্যমে চুক্তি করা বা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করা। এই স্বাক্ষরের মাধ্যমে আইনজীবীকে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার দায়িত্ব দিতে হয়। আইনজীবীকে মামলা পরিচালনা করার দায়িত্ব দেওয়ার পর তার লিখিত সম্মতি ছাড়া অন্য কোনো আইনজীবী মামলা পরিচালনা করতে পারবে না।
মামলার খরচ
একটি মামলা চালাতে গেলে অবশ্যই তার খরচের কথাও ভাবতে হবে।মামলা করতে গেলে খরচ হয় দুই ভাবে।
১. আইনজীবীর ফি
২. দাপ্তরিক খরচ
মামলা চলাকালীন আইনজীবীর খরচ দিতে হয়। আইনজীবীর খরচ নির্দিষ্ট না। স্থান এবং আইনজীবীর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী খরচ নিয়ে থাকে। আর মামলার ধরন অনুযায়ী দাপ্তরিক খরচ নেওয়া হয়।
মামলা শুরু করা
প্রথমত মামলা শুরু করেন আইনজীবী অথবা তার সহকারী আইনজীবী। আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করলে কোর্ট অফিসে একটি নম্বর দেওয়া হয়। এই নম্বর অনুযায়ী কোর্টের একটি বেঞ্চের কার্যতালিকায় মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অন্তর্ভুক্ত করা বেঞ্চের কার্যতালিকায় মামলাটি কার্যতালিকা অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে শুনানি সম্পন্ন হয়। বিপক্ষ ব্যক্তিকে আত্নপক্ষ সমর্থনের জন্য যথাযথ সময় দেওয়া হয়। মামলার একাধিক দিন শুনানি হতে পারে। কিন্তু শুনানি চলাকালীন বেঞ্চ ভেঙে দেওয়া হলে পুনরায় অন্য একটি বেঞ্চের কার্যতালিকায় মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। এ কার্যতালিকাকে কজলিস্ট বলা হয়।
0 comments:
Post a Comment