উপলব্ধির বিষয়
By
Mozammel Hoq
•
3:43 PM
•
0 Comments
উপলব্ধির বিষয়!
অনেকের গবেষণা মতে চীন ক্ষমতার লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য এই bioweapons নিয়ে কাজ করছিলো।
হয়ত এক্সিডেন্টলি অথবা পরিকল্পনামাফিক ভাইরাস নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।
আমেরিকা যখন nuclear weapons নিয়ে কাজ করছে
তখন চায়না করছে bioweapons নিয়ে কাজ।
নাকের ডগায় বসে থেকে ভারত তিলে তিলে গড়ে তুলেছে তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
একটা বাটনে চাপলে ধুলায় মিশে যাবে অর্ধেক দুনিয়া।
ইজরাইলের মত রিফিউজি দেশ তারাও গড়ে তুলেছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃছিদ্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
আর বাংলাদেশ??
এই যুদ্ধে বাংলাদেশ কোথায়???
জাপানে ডিফেন্স ফোর্স তৈরীতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ছিলো।
জাপান প্রতিরক্ষা খাতের পুরো অর্থই ট্রান্সফার করে দিলেন শিক্ষা খাতে।
যেখানে স্কুল লেভেলেই সহবৎ শেখানোর পাশাপাশি জাপান সামরিক কৌশলও শেখালো তার বাচ্চাদের।
এলিট ফোর্স নেই কিন্তু পুরো দেশের ১০০% নাগরিক যুদ্ধকৌশল শিখে বসে আছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ, সরকারি তরফ থেকে তিলে তিলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে৷
বই থেকে মোরাল এডুকেশন তুলে দিয়েছে।
কোচিং সেন্টারের ব্যবসা চাঙ্গা করতে গিয়ে পুরো জেনারেশনকে খেলাধুলা থেকে বিরত রেখেছে।
খাবারে ফরমালিন বিষ মিশিয়ে শারীরিক ভাবে দূর্বল জাতি তৈরি করেছে।
টাকার লোভে ডাক্তাররা মায়ের পেট কেটে সিজারের নামে লাখে লাখে প্রি ম্যাচিউর বেবি বের করে এনেছে।
টেলিযোগাযোগ কোম্পানি গুলো পরিকল্পনা করে ইয়াং জেনারেশনকে ফেসবুক আড্ডায় ঢুকিয়ে দিয়েছে।
জোর করে ছাত্রদের সরল রৈখিক রাজনীতিতে যুক্ত করা হয়েছে।
একটা দেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করার জন্য যা যা করা সম্ভব তার সব কিছুই এপ্লাই করা হয়েছে৷
দেশের কোন স্ট্রং পররাষ্ট্র নীতি তৈরি হয়নি।
বিজ্ঞান গবেষণায় কোন বরাদ্দ নেই, কারো কোন আগ্রহ নেই।
সবাইকে বিসিএস গাইড ধরিয়ে দিয়ে সরকারের অনুগত করা হয়েছে।
বেস্ট সেলিং এর দৌড়ে টিকে থাকতে কেউ এখন আর বুদ্ধিবৃত্তিক লেখাঝুকা করতে আগ্রহী নয়।
রাজনৈতিক দল গুলো মনের মাধুরী মিশিয়ে ইতিহাস বিকৃত করে চলেছে।
মোদ্দা কথা শিক্ষা, স্বাস্থ, পররাষ্ট্র নীতি, বিজ্ঞান, ইতিহাস, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, অর্থনীতি, পরিবেশ
যে কোন সূচকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ভয়াবহ অন্ধকার।
এখানে ফ্লাইওভার নির্মাণকে উন্নতি বলা হয়,
অথচ এই ফ্লাইওভার হাজারে হাজারে পরে আছে চায়নায়।
একটা নিন্ম মানের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকে বিজয় ধরা হয়,
অথচ নাসা ছুটে চলেছে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে।
একটা দেশ যার নিজেস্যতা বলে কিচ্ছু নেই।
নিজস্ব ট্রেডমার্ক নেই,
নিজস্ব আবিষ্কার নেই,
নিজস্ব পলিসি নেই,
নিজস্ব পন্য নেই।
এই দেশ নিয়ে গর্ব করার কি আছে আমি বুঝি না।
হাওয়ায় দেশ চলছে।
ব্যাংকে টাকা রাখবেন, টাকা হাওয়া হয়ে যাবে,
বুঝতেই পারবেন না৷
বিশ্ববিদ্যালয় বাচ্চাদের চাকুরীর জন্য তৈরি করবে
কিন্তু নতুন কোন আইডিয়া নিয়ে আলাপ হবে না।
আচ্ছা এই যে চীন আরো ৪০ বছর আগে থেকে ভাইরাস নিয়ে কাজ করছে এই তথ্য কেন বাংলাদেশের কাছে থাকবে না?
যেদেশের সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বানিজ্যিক সম্পর্ক৷
হাগু করতে গেলেও চাইনিজ কমড লাগে,
সেই দেশ কেন আগে থেকেই চায়নাকে অবজার্ভ করবে না?
কেন তারা জানবে না যে আগামীকাল চায়না কেমন রিয়াক্ট করতে পারে?
কেন আগে থেকেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকবে না?
পুরোদস্তুর একটা খাদক (ভোক্তা) দেশ তৈরি হয়েছে।
যাকে বলে বাজার!
ভারতের বাজার, চায়নার বাজার, পাকিস্তানের বাজার, কোরিয়ার বাজার।
শুধু বাজারই না, ৩য় শ্রেণীর পন্য বিক্রি করার জন্য ২০ কোটি ক্রেতার এক বাজার।
যাকে স্লেভ বললেও ভুল হবে না।
স্বাধীনতার তকমা জড়িয়ে থাকবে,
কিন্তু আদতে দেশ, মন, মস্তিষ্ক বেচে বসে আছে অন্য দেশের কাছে।
যাদের নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই।
পুরোটাই পরগাছা।
একটা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য পর্যন্ত অন্য দেশের দিকে তাকিয়ে আছে।
যদি কাল এই ভ্যাকসিন না দেয় কেউ,
পুরো জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে৷
হুদাই বড় বড় ডায়লগ, বাঙ্গালী বীরের জাতি।
চায়না যখন আগামী ১০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর ক্ষমতা দখল করতে ব্যস্ত,
আমেরিকা যখন গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে রকেট ছুটিয়ে চলেছে,
ভারত যখন একটার পর একটা নিউক্লিয়ার টেস্ট করছে
তখন আমরা ব্যস্ত এই গবেষণায় যে স্বাধীনতার ভাষণ কে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু না জিয়াউর রহমান?
দুনিয়া যখন স্পেস ট্রাভেল করছে
তখন আমরা একটা মেট্রোরেল তৈরি করেই নিজেদের উন্নত জাতি বলে নিজেরাই নিজেদের পীঠ চুলকাচ্ছি।
আহা বাঙ্গালী!!
কথায় আছে মূর্খের রাজা হওয়া থেকে জ্ঞানীর চাকর হওয়া উত্তম...
Collected.