Welcome to Law Firm

Wednesday, November 4, 2020

পেনসিলভানিয়ায় বাইডেনের এখনো আশা আছে




 মার্কিন নির্বাচনে এই মুহূর্তে যে কয়টা অঙ্গরাজ্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তার মধ্যে পেনসিলভানিয়া অন্যতম। এই অঙ্গরাজ্যে এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাড়ে ৫ লাখ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। গণনা এখনো শেষ হয়নি। এখনো ২৩ শতাংশ ভোটের গণনা বাকি। ফলে বাইডেনের জন্য এখনো এই ব্যবধান অনতিক্রম্য নয়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ট্রাম্প যে ব্যবধানে এগিয়ে আছেন, তা অতিক্রম করে যাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ এখনো রয়েছে বাইডেনের সামনে। গণনার অপেক্ষায় থাকা ভোটগুলোই এই আশা দেখাচ্ছে। দেখতে হবে, কোন ভোটগুলো এখনো গণনা হয়নি, কোথায় কোথায় গণনা সম্পন্ন হয়নি এবং গণনার অপেক্ষায় দেওয়া ভোটগুলো কীভাবে দেওয়া হয়েছিল।

পেনসিলভানিয়ায় এখনো ১০ লাখের বেশি অ্যাবসেন্টি বা ডাকযোগে দেওয়া ভোট গণনার বাকি। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য। কারণ, এবার ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেই এভাবে ভোট দেওয়ার প্রবণতা বেশি ছিল। এ ছাড়া ফিলাডেলফিয়া ও এর আশপাশের কাউন্টি এবং অ্যালেঘানি কাউন্টিতে প্রচুর ভোট পড়েছে বলে মনে করছেন ডেমোক্র্যাটরা। পিটসবার্গের আশপাশের এসব এলাকায় ডেমোক্র্যাট ভিত বেশ শক্ত। ফলে এসব এলাকার ভোট গণনার পর পাশার দান উল্টে যেতে পারে বলে মনে করছেন বাইডেন সমর্থকেরা।

সিএনএন বলছে, পেনসিলভানিয়ায় গণনার অপেক্ষায় থাকা অ্যাবসেন্টি ব্যালটের একটি বড় অংশই ডেমোক্র্যাট ভিত হিসেবে পরিচিত কাউন্টিগুলোর। সাড়ে পাঁচ লাখ ভোটের ব্যবধান নিঃসন্দেহে অনেক বড় ব্যবধান। কিন্তু এখনো ১০ লাখ অনুপস্থিতি ব্যালটের গণনা অনেক কিছু পাল্টে দিতে পারে। এই ব্যালটগুলোর ৭০-৭৫ শতাংশ গণনার পরই হয়তো দেখা যাবে বাইডেন এগিয়ে গেছেন, যেমনটা হয়েছে উইসকনসিন ও মিশিগানে।

তবে এটা ভাবারও কোনো সুযোগ নেই যে, গণনার অপেক্ষায় থাকা সব ভোটই বাইডেন টানবেন। পেনসিলভানিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ট্রাম্পের সমর্থক অনেক। সেখানেও প্রচুর ভোট পড়েছে। বাকি ভোটের গণনা যখন চলবে, ট্রাম্পও এগোবেন পাল্লা দিয়েই।

Source: Prothom Alo

Friday, October 16, 2020

ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড


‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’ ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে গেজেট প্রকাশ।

ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী এনে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ’ রাষ্ট্রপতির সম্মতিতে জারি করেছে সরকার। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

দেশে পরপর কয়েকটি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১২ অক্টোবর) ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিদ্যমান আইনের একটি ধারা সংশোধন করে ধর্ষণে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়।

বর্তমানে সংসদ অধিবেশন না থাকায় এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) একটি অধ্যাদেশ জারি করা হবে বলে সোমবারই জানিয়েছিনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

২০০০ সালের ৮ নম্বর আইনের ধারা ৯  সংশোধনের জন্য জারি করা অধ্যাদেশে বলা হয়, ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে।

আগের আইনে ‘অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিক্যাল পরীক্ষার কথা বলা ছিল। অধ্যাদেশে ‘অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিক্যাল পরীক্ষা’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে।

এছাড়াও, ‘অপরাধের শিকার ব্যক্তির’ কথা বলা ছিল। অধ্যাদেশে ‘অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে।

অধ্যাদেশে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড) পরীক্ষার বিষয়ে বলা হয়েছে— এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ধারা-৩২ এর অধীন মেডিক্যাল পরীক্ষা ছাড়াও উক্ত ব্যক্তির সম্মতি থাকুক বা না থাকুক, ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) আইন, ২০১৪ (২০১৪ সালের ১০ নং আইন) এর বিধান অনুযায়ী ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে।

আইনের ধারা ৯(১)-এ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পরিবর্তে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রতিস্থাপিত হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

আইনের ১১(গ) এবং ২০(৭) ধারা সংশোধন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ধর্ষণ ছাড়া সাধারণ জখম হলে কম্পাউন্ড (আপসযোগ্য) করা যাবে। আর চিলড্রেন অ্যাক্ট, ১৯৭৪ প্রযোজ্য হবে না। এখন শিশু আইন, ২০১৩ প্রযোজ্য হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও  বলেন, ‘১৮০ দিনের মধ্যে মামলার বিচার শেষ করতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে। যদি কোনও বিচারক চলে যান, তাহলে তিনি যে অবস্থায় মামলা রেখে গেছেন, সেই অবস্থা থেকে পরবর্তীতে বিচার হবে।’

এক প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এটার একটা পজিটিভ ইমপ্যাক্ট আসবে। যারা অপরাধ করবে তারা অন্তত চিন্তা করবে যে, এটাতে তো মৃত্যুদণ্ড আছে, এখন তো আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না। সে কিন্তু একটু হলেও বিরত থাকবে, চিন্তা থাকবে যে, মৃত্যুদণ্ড হবে। সমাজে এটার একটা পজিটিভ ইমপ্যাক্ট হবে।’

সুত্রঃ ঢাকা ট্রিবিউন

Friday, September 18, 2020

হঠাৎ উকিল নোটিশ পেলে করণীয় কি

উকিল নোটিশ পেলে কি করবেনঃ 

হঠাৎ কোনো উকিল নোটিশ পেলে অনেকে ঘাবড়ে যান। নোটিশ পেয়ে দিগ্বিদিক ছুটে যান এর-ওর কাছে। কেউ যান আইনজীবীর চেম্বারে। পরিবারের সবাই যেন অস্থির হয়ে যান। কিন্তু উকিল নোটিশ পেয়ে কী করবেন, কী করবেন না—অনেকেই তা ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারেন না। কিন্তু উকিল নোটিশ মানে ফেলনাও নয়। এর আইনি গুরুত্ব রয়েছে। তবে আইনি নোটিশ আপনাকে আগে থেকে সতর্ক করতে পারে। আর অনেক অহেতুক মামলা-মোকদ্দমা থেকেও আপনি রেহাই পেতে পারেন। আদালতে যাওয়ার আগে সমস্যার সমাধান করারও সুযোগ থাকে।

উকিল নোটিশ কী
প্রথমেই মনে রাখতে হবে, উকিল নোটিশ মানেই মামলা নয়। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে সাধারণত কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে কোনো নোটিশ পাঠানো হলে সেই নোটিশকে লিগ্যাল নোটিশ বা উকিল নোটিশ বলা হয়। উকিল নোটিশ মামলা নয়, তবে মামলা-মোকদ্দমা করার পূর্বপ্রস্তুতি বলা চলে। একজন আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিপক্ষের বা অভিযুক্তের কাছে তাঁর অভিযোগ তুলে ধরা হয় উকিল নোটিশের মাধ্যমে। এ নোটিশ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হতে পারে। পারিবারিক বিষয়, জমিজমা থেকে শুরু করে আর্থিক বিষয়ে যেকোনো আইনি বিরোধ থাকলেই উকিল নোটিশ পাঠানো যায়। এ নোটিশে সাধারণত আইনজীবীর মাধ্যমে দাবিদাওয়া তুলে ধরা হয়। নোটিশে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় এবং অনুরোধ করা হয় এ সময়সীমার মধ্যে বিরোধের সমাধান করতে। না হলে কোন আইনে কীভাবে মামলা-মোকদ্দমা করবে, সে বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়। কিছু উকিল নোটিশ আছে, যা মামলা করার আগে দেওয়া বাধ্যতামূলক। যেমন চেক ডিজঅনার-সংক্রান্ত উকিল নোটিশ অবশ্যই দিতে হয় প্রতিপক্ষকে।

নোটিশ পেলে কী করবেন
কোনো আইনি নোটিশ পেলেই অস্থির না হয়ে সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায়, সেটা ভাবতে হবে আগে। উকিল নোটিশ পেয়েই যদি বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান করা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে অনেক আইনি ঝামেলা ও ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রথমেই আইনি নোটিশ পেলে দেখতে হবে এর বিষয়বস্তু কতটা যুক্তিসংগত এবং এর কোনো ভিত্তি আছে কি না। নোটিশে উল্লিখিত দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখতে হবে। যদি কোনো ধরনের ভিত্তি না থাকে কিংবা হয়রানি করার জন্য কেউ আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ পাঠান, তাহলে এর জবাব দিয়ে যুক্তি খণ্ডাতে হবে এবং প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে হবে। একটি বিষয় জেনে রাখা খুব জরুরি যে আইনি নোটিশ পেয়ে কোনো আইনজীবীকে দোষ দিলে চলবে না। কারণ একজন আইনজীবী তাঁর মক্কেলের কাছ থেকে নির্দেশনা পেয়েই নোটিশ পাঠান। আইনজীবীর সত্য-মিথ্যা যাচাই করে নোটিশ দেওয়ার সুযোগ কম। তাই কোনো হয়রানিমূলক নোটিশ পেলে তার জবাব দিয়ে এর স্পষ্ট কারণ তুলে ধরা উচিত। নোটিশের জবাব একজন আইনজীবীর মাধ্যমেই দেওয়া উচিত। যদি নোটিশে উল্লিখিত অভিযোগের সত্যতা থাকে, তাহলে এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে নিতে পারেন। নোটিশটি যদি পারিবারিক বিষয় হয়, তাহলে আলোচনা করেই মিটিয়ে ফেলা উতি। অনেকেই দেখা যায় উকিল নোটিশ পেলে ডাকপিয়নের কাছ থেকে গ্রহণ করতে চান না। এতে মাঝেমধ্যে উল্টো ফলও হতে পারে। কারণ নোটিশ আপনি গ্রহণ করেন আর না-ই করেন, আইনের ব্যাখ্যায় নোটিশটি ঠিকঠাক প্রেরণ করা হয়েছিল তা অনেক সময় প্রমাণ হয়ে যায়। নোটিশ গ্রহণ না করলে প্রকৃত দাবি বা অভিযোগ সম্পর্কে জানাও যায় না এবং মামলায় যাওয়ার আগে নিষ্পত্তির সুযোগও কমে আসে।

আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ

মামলা পরিচালনার জন্য সাধারণত হাইকোর্টের নিবন্ধনযুক্ত আইনজীবীকে নোটিশে মাধ্যমে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জেলা জজ আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য জজ আদালতে মামলা পরিচালনা করেন এমন আইনজীবীকে দিয়ে উকিল নোটিশ পাঠাতে হয়। উকিল নোটিশ পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনজীবীকে ফি দিতে হয়। অধিকাংশ আইনজীবী উকিল নোটিশ দেওয়ার আগে ওকালতনামায় স্বাক্ষর নিয়ে নেন। 

বিভিন্ন জায়গায় বা এলাকাতে অবস্থিত ল’ ফার্মগুলোতে আইনজীবীর খোঁজ নেওয়া যেতে পারে। আবার ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত আইনজীবী থাকলে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। হাইকোর্ট চত্বরে অবস্থিত সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে বিভিন্ন আইনজীবীর চেম্বার আছে। সে স্থানে খোজ নিয়ে অভিজ্ঞ আইনজীবীকে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। 

মামলার দায়িত্ব দেওয়া

একটি মামলা পরিচালনা করতে হলে প্রথমে নিজ পছন্দের উকিল ঠিক করে ওকালতনামার মাধ্যমে চুক্তি করা বা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করা। এই স্বাক্ষরের মাধ্যমে আইনজীবীকে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার দায়িত্ব দিতে হয়। আইনজীবীকে মামলা পরিচালনা করার দায়িত্ব দেওয়ার পর তার লিখিত সম্মতি ছাড়া অন্য কোনো আইনজীবী মামলা পরিচালনা করতে পারবে না।

মামলার খরচ

একটি মামলা চালাতে গেলে অবশ্যই তার খরচের কথাও ভাবতে হবে।মামলা করতে গেলে খরচ হয় দুই ভাবে।

১. আইনজীবীর ফি

২. দাপ্তরিক খরচ

মামলা চলাকালীন আইনজীবীর খরচ দিতে হয়। আইনজীবীর খরচ নির্দিষ্ট না। স্থান এবং আইনজীবীর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী খরচ নিয়ে থাকে। আর মামলার ধরন অনুযায়ী দাপ্তরিক খরচ নেওয়া হয়।

মামলা শুরু করা

প্রথমত মামলা শুরু করেন আইনজীবী অথবা তার সহকারী আইনজীবী। আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করলে কোর্ট অফিসে একটি নম্বর দেওয়া হয়। এই নম্বর অনুযায়ী কোর্টের একটি বেঞ্চের কার্যতালিকায় মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অন্তর্ভুক্ত করা বেঞ্চের কার্যতালিকায় মামলাটি কার্যতালিকা অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে শুনানি সম্পন্ন হয়। বিপক্ষ ব্যক্তিকে আত্নপক্ষ সমর্থনের জন্য যথাযথ সময় দেওয়া হয়। মামলার একাধিক দিন শুনানি হতে পারে। কিন্তু শুনানি চলাকালীন বেঞ্চ ভেঙে দেওয়া হলে পুনরায় অন্য একটি বেঞ্চের কার্যতালিকায় মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। এ কার্যতালিকাকে কজলিস্ট বলা হয়।

লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

Wednesday, September 2, 2020

কেনাকাটায় ভোগ-বিলাসে অসুস্থ প্রতিযোগিতা

কেনাকাটা/ভোগবিলাসের অসুস্থ প্রতিযোগিতা-----------------------------নারী/পুরুষ নির্বিশেষে,


## জরিপ চালিয়ে দেখতে পারেন, যাদের হোমলোন/ কারলোন/এবং বিসনেস লোন আছে, তাদের বেশিভাগ মানুষের অতিরিক্ত কেনাকাটা রয়েছে,  তাদের মানসম্মান  সবকিছুই লোনের কেনাকাটার  মধ্যে সীমাবদ্ধ, কেননা লোন তো মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশোধ করতে হয়না,

" এধার সে ওধার করা" তাই গায়ে লাগে না, সব তো ব্যাংকের টাকা, টাকা দিতে না পারলে বড়জোর একটা মামলা হবে, জেলে আরো আরাম, ফ্রি খানা আর ফ্রি বিছানা কোন চিন্তা নেই।

     

# ছেলেদের জীবনটা কি শুধুমাত্র বাবার পরিবর্তে অথবা নিজেই কর্তা হয়ে পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে সংসারের ঘানি টানা ? 

*** ইসলামর নারীর দায়িত্ব নিতে বলেছেন,অতিরিক্ত অপচয়ে ভোগবিলাসী জীবনযাপনে সঙ্গী হতে বলেননি। অথবা সেই জীবনের সঙ্গ দিতে গিয়ে  অন্যায়/ দুর্নীতিতে জড়িয়ে অপরাধ করতে বলেননি।


# পুরুষ মানুষ, তাদের জীবনেও রয়েছে আশা, তাদের ও অধিকার আছে নিজের মতো পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ করে, জীবনে সফলতার শেকড়ে আরোহন করার, সৃষ্টির উদ্দেশ্য জানা, জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখা।

### যদি ভারসাম্য বজায় রাখতেন, তাহলে আপনার জীবনে সফলতা কেউ আটকে রাখতেে পারতো না, কখনো অভাবে পরতে হতো না।


*** কিন্তু কয়জনে পারে নিজেকে প্রকাশ করতে? যৌক্তিক দায়িত্ব পালন করে জীবন উপভোগ করতে, কিন্তু অধিকাংশ পুরুষের জীবন মানে,একটা পেশা বেছে নেওয়ার পর বিয়ে করা, এবার যা করছি সবতো বৌ বাচ্চার জন্য,

 আবার, জীবন মানে দুবেলা দুমুটো খাবারের সন্ধানে জীবন শেষ করে দেয়া, 

# তারা জানেন না কোনটি তাদের যৌক্তিক দায়িত্ব!!! তাদের পরিবারের খবর কি তারা রাখেন? তাদের অর্জিত অর্থ দিয়ে কি পরিমান অপচয় হচ্ছে?  কোনটা প্রয়োজন? কোনটা অপচয়?? 

-------------------------------------------------------------------------------


# ## যাদের পেশা কাপড় সহ নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিস বানানো, যাদের পেশা কাপড়ের সহ অন্যান্য জিনিস বিক্রি করা তারা তাদের ব্যবসার প্রচার এবং প্রসারের জন্য নিত্য নতুন পন্য সামগ্রী উৎপাদন করবেন আর মজুদ রাখবেন, যাতে ভোক্তাগন প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী হাতের নাগালে পায় অভাব পূরন করে চাহিদা মেটাতে পারেন। এটাই স্বাভাবিক। 

কিন্তু, 

# আমরা অনেকেই আছি যারা বাজারে যে জিনিস বা কাপড়টি নতুন আসছে বিনা প্রয়োজনে দেখাদেখিতে শো-অফ করার জন্য অনেক অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা করি, যা অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাব সৃষ্টি করছে, মাসিক যত টাকা আয় করেন বিশাল একটা অংশ অপ্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় হচ্ছে,অর্জিত টাকা হতে মাস শেষে কিছু  টাকা জমানোর পরিবর্তে অপ্রোজনীয় কেনাকাটা করে ক্রেডিট কার্ডের নেশায় বিভোর হয়ে আছি।


## ফলে, কোন সমস্যার মুখোমুখি হলে / চাকরিচ্যুত হলে দ্বারে দ্বারে সাহায্য চাইতে হয়, সহযোগিতা না পেলে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে অনেক সুসম্পর্ক নষ্ট হয়,বলি আমার মতো অভাগা আর কেউ নেই।


###  ফলশ্রুতিতে, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ আর ঋণের জর্জরিত হওয়াসহ নানা রকম সমস্যার পড়তে হয়। কেননা যারা এসব কেনাকাটায় সারা বছর উৎসব পালন করে তাদের অধিকাংশই বেকার কিংবা কোন বাবা/ভাই/স্বামীর উপর নিভর্রশীল।


# যার কাছে নতুন বিয়ে করা বৌ'কে দুইবেলা খাবার আর শাড়ি কিনে দেওয়ার  সামর্থ নেই,  তাকে ঐ দুবেলা খাবার,একটি শাড়ি দিতে না পারার অপারগতায় পদে পদে অপদস্ত হতে হয়, অনেক সুন্দর পরিবার ভেঙে ছারখার হয়ে যায়,  কত কথা শুনতে হয়, এটা যেন বড় মাপের অপরাধ, কাপড় দিতে না পারলে বিয়ে করলে কেন? যখন দুবেলা খাবার আর পোশাক নিশ্চিত করা খুবই প্রযোজন। সেটা অনেকে দিতে পারেননা, আরেক শ্রেণী অতিরিক্ত অপচয়ে বিভোর।


### আমাদের দেশে প্রতিদিন অনেক অনেক ভরনপোষণের মামলা হচ্ছে। 


 আবার তার বিপরীতে 

# কেননা এক শাড়ি বারবার পরলে / খাবার টেবিলে মেহমানের সামনে ৭/৮ রকমের তরকারি সাজিয়ে দিতে না পারলে, পাশের বাসার ভাবী আর বাবার বাড়ির লোকজনের সামনে আর বান্ধবীর সামনে তার বৌ'য়ের মান সম্মান বলে কিচ্ছু থাকলো না, 


# ফেসবুকের যুগে এক শাড়ি বার বার পরাই যায় না,কেননা আগের ছবিতে সবাই দেখেছে, এখন আবার পরলে কি মনে করবে সবাই তা? 

না হলে সবাই যে বেকডেটেড মনে করবেন।

কিন্তু, 

# প্রতিদিন শাড়ি কেনার সামর্থ যাদের থাকে/ভালো অনেক শাড়ি পরে আছে অব্যবহৃত অথবা যারা অনেক বেশি উপহার ও পান তারা শাড়ি পরেন না। 

# তারা বলেন আমার না শাড়ি খুব গরম আর ঝামেলা  মনে হয়,  একেবারেই  পরতে ইচ্ছা করে না।

# তারা চাপাচিপা অথবা ডিলাঢালা বিদেশি নামের ছেঁড়াফাড়া ছোট্ট ছোট্ট  কাপড় ব্যবহার করে বলে ওয়াও জোস্, দারুন কমফোর্টেবল, মেরেজ এনোভার্সারী তে স্বামীকে দিয়ে ইউএস / সিংগাপুর থেকে আনিয়েছি।

### পর্দা আর ইজজত এর গোষ্ঠী কিলাই,

"শুধু বৌকে উপহার দিবে বলে নিয়ে আসেন অথবা ব্যবহারের অনুমতি দেন আজেবাজে রকমের সব পোশাক "।

### তাই তো চারদিকে এখন উৎসব চলছে ওয়াল আলমারি বানানোর, কেননা এতবেশি অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা করি, ফলে কাপড় চোপড়  আর জিনিসপত্র আমাদের আছে যা রাখার জায়গা আসলেই পুরোোনো আলমারিতে নেই,  এই হলাম আমরা, যাদের অভাবের শেষ নেই।

বিঃদ্রঃ "পোশাক মানুষের পরিচয় হতে পারে না, বিনা প্রয়োজনে প্রতিযোগিতামুলক জীবন যাপন মানুষকে বড় করতে পারে না, বড় হতে হলে মানুষের জন্য কিছু ভালো কাজ করুন, মানুষের হৃদয়ে একবার জায়গা করে নিন, যা কখনো বেকডেটেড বলে পরিবর্তন করার প্রয়োজন হবে না, যার মডেল হবেন শুধু আপনি "।


Writer: 

Taslima Akter  Rain

Masters of Law (LL.M.)

Souther University Bangladesh  


Friday, July 31, 2020

❤❤ ঈদ মোবারক ❤❤


Thursday, July 30, 2020

উপলব্ধির বিষয়

উপলব্ধির বিষয়!

অনেকের গবেষণা মতে চীন ক্ষমতার লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য এই bioweapons নিয়ে কাজ করছিলো।

হয়ত এক্সিডেন্টলি অথবা পরিকল্পনামাফিক ভাইরাস নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।

আমেরিকা যখন nuclear weapons নিয়ে কাজ করছে 
তখন চায়না করছে bioweapons নিয়ে কাজ।

নাকের ডগায় বসে থেকে ভারত তিলে তিলে গড়ে তুলেছে তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
একটা বাটনে চাপলে ধুলায় মিশে যাবে অর্ধেক দুনিয়া।

ইজরাইলের মত রিফিউজি দেশ তারাও গড়ে তুলেছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃছিদ্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

আর বাংলাদেশ??
এই যুদ্ধে বাংলাদেশ কোথায়???

জাপানে ডিফেন্স ফোর্স তৈরীতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ছিলো। 

জাপান প্রতিরক্ষা খাতের পুরো অর্থই ট্রান্সফার করে দিলেন শিক্ষা খাতে।

যেখানে স্কুল লেভেলেই সহবৎ শেখানোর পাশাপাশি জাপান সামরিক কৌশলও শেখালো তার বাচ্চাদের।

এলিট ফোর্স নেই কিন্তু পুরো দেশের ১০০% নাগরিক যুদ্ধকৌশল শিখে বসে আছে। 

অন্যদিকে বাংলাদেশ, সরকারি তরফ থেকে তিলে তিলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে৷

বই থেকে মোরাল এডুকেশন তুলে দিয়েছে।
কোচিং সেন্টারের ব্যবসা চাঙ্গা করতে গিয়ে পুরো জেনারেশনকে খেলাধুলা থেকে বিরত রেখেছে। 

খাবারে ফরমালিন বিষ মিশিয়ে শারীরিক ভাবে দূর্বল জাতি তৈরি করেছে।

টাকার লোভে ডাক্তাররা মায়ের পেট কেটে সিজারের নামে লাখে লাখে প্রি ম্যাচিউর বেবি বের করে এনেছে।

টেলিযোগাযোগ কোম্পানি গুলো পরিকল্পনা করে ইয়াং জেনারেশনকে ফেসবুক আড্ডায় ঢুকিয়ে দিয়েছে।

জোর করে ছাত্রদের সরল রৈখিক রাজনীতিতে যুক্ত করা হয়েছে। 

একটা দেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করার জন্য যা যা করা সম্ভব তার সব কিছুই এপ্লাই করা হয়েছে৷ 

দেশের কোন স্ট্রং পররাষ্ট্র নীতি তৈরি হয়নি।
বিজ্ঞান গবেষণায় কোন বরাদ্দ নেই, কারো কোন আগ্রহ নেই। 

সবাইকে বিসিএস গাইড ধরিয়ে দিয়ে সরকারের অনুগত করা হয়েছে।

বেস্ট সেলিং এর দৌড়ে টিকে থাকতে কেউ এখন আর বুদ্ধিবৃত্তিক লেখাঝুকা করতে আগ্রহী নয়।

রাজনৈতিক দল গুলো মনের মাধুরী মিশিয়ে ইতিহাস বিকৃত করে চলেছে।

মোদ্দা কথা শিক্ষা, স্বাস্থ, পররাষ্ট্র নীতি, বিজ্ঞান, ইতিহাস, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, অর্থনীতি, পরিবেশ
যে কোন সূচকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ভয়াবহ অন্ধকার।

এখানে ফ্লাইওভার নির্মাণকে উন্নতি বলা হয়,
অথচ এই ফ্লাইওভার হাজারে হাজারে পরে আছে চায়নায়। 

একটা নিন্ম মানের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকে বিজয় ধরা হয়, 
অথচ নাসা ছুটে চলেছে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে।

একটা দেশ যার নিজেস্যতা বলে কিচ্ছু নেই।
নিজস্ব ট্রেডমার্ক নেই,
নিজস্ব আবিষ্কার নেই,
নিজস্ব পলিসি নেই,
নিজস্ব পন্য নেই।
এই দেশ নিয়ে গর্ব করার কি আছে আমি বুঝি না।

হাওয়ায় দেশ চলছে।
ব্যাংকে টাকা রাখবেন, টাকা হাওয়া হয়ে যাবে,
বুঝতেই পারবেন না৷

বিশ্ববিদ্যালয় বাচ্চাদের চাকুরীর জন্য তৈরি করবে
কিন্তু নতুন কোন আইডিয়া নিয়ে আলাপ হবে না।

আচ্ছা এই যে চীন আরো ৪০ বছর আগে থেকে ভাইরাস নিয়ে কাজ করছে এই তথ্য কেন বাংলাদেশের কাছে থাকবে না?

যেদেশের সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বানিজ্যিক সম্পর্ক৷ 

হাগু করতে গেলেও চাইনিজ কমড লাগে,
সেই দেশ কেন আগে থেকেই চায়নাকে অবজার্ভ করবে না? 

কেন তারা জানবে না যে আগামীকাল চায়না কেমন রিয়াক্ট করতে পারে?
কেন আগে থেকেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকবে না?

পুরোদস্তুর একটা খাদক (ভোক্তা) দেশ তৈরি হয়েছে।
যাকে বলে বাজার!
ভারতের বাজার, চায়নার বাজার, পাকিস্তানের বাজার, কোরিয়ার বাজার।

শুধু বাজারই না, ৩য় শ্রেণীর পন্য বিক্রি করার জন্য ২০ কোটি ক্রেতার এক বাজার।

যাকে স্লেভ বললেও ভুল হবে না। 
স্বাধীনতার তকমা জড়িয়ে থাকবে, 
কিন্তু আদতে দেশ, মন, মস্তিষ্ক বেচে বসে আছে অন্য দেশের কাছে।

যাদের নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই।
পুরোটাই পরগাছা।

একটা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য পর্যন্ত অন্য দেশের দিকে তাকিয়ে আছে।

যদি কাল এই ভ্যাকসিন না দেয় কেউ,
পুরো জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে৷ 

হুদাই বড় বড় ডায়লগ, বাঙ্গালী বীরের জাতি।

চায়না যখন আগামী ১০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর ক্ষমতা দখল করতে ব্যস্ত,
আমেরিকা যখন গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে রকেট ছুটিয়ে চলেছে, 
ভারত যখন একটার পর একটা নিউক্লিয়ার টেস্ট করছে

তখন আমরা ব্যস্ত এই গবেষণায় যে স্বাধীনতার ভাষণ কে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু না জিয়াউর রহমান?

দুনিয়া যখন স্পেস ট্রাভেল করছে 
তখন আমরা একটা মেট্রোরেল তৈরি করেই নিজেদের উন্নত জাতি বলে নিজেরাই নিজেদের পীঠ চুলকাচ্ছি।
আহা বাঙ্গালী!!

কথায় আছে মূর্খের রাজা হওয়া থেকে জ্ঞানীর চাকর হওয়া উত্তম...

Collected.

কোভিড-১৯ নিয়ে গুরত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

 এডভোকেট আবু মোহাম্মদ ইলিয়াছ ভুইয়ার ফেইসবুক ওয়াল থেকে হুবহু তুলে ধরা হয়েছে। 

বেকার সময়ে করোনা নিয়ে অনেক পড়াশুনা করে যা শিখলাম।সময় থাকলে পড়বেন। উপকারেও আসতে পার। আমি আগামী রবিবার ২১/০৬/২০২০ ইং তারিখ সকাল ১০ টা  থেকে চেম্বার কবর ইনশাহআল্লাহ।কেননা করোনা ভাইরাস দ্বারা ইনফেক্টট না হয়ে লুকিয়ে থাকার কোন সুযোগ নাই।কারন এই ভাইরাসের কোন লজ্জা সরম নাই।তাই এত সহজে যাচ্ছে না।খুব সম্ভবত সবার ভেকসিনেশন না হওয়া পর্যন্ত করোনা ভইরাসের এই করাল থাবা থেকে রক্ষার সুযোগ নাই।আর কবে যে ভেকসিন আসবে এবং আমাদের মত অসহায় মানুষের হাতে পৌছবে তার কোন ইয়ত্তা নাই।তাই জন্য সরকার বুঝে শুনে এমন একটা পদ্ধতি বেছে নিয়েছে যার নাম হলো হার্ড ইমিউন সিস্টেম। এইটা আবার কি?। প্রকৃতপক্ষে হার্ড ইমিউন সিস্টেম অর্থ হল, করোনা ভাইরাস সবাইকে ইনফেক্টট করুক আর সবার শরীরে আল্লাহ প্রদত্ত রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্হা যেটাকে ইমিউনিটি বলা হয়, তা তৈরী হউক।আসলেই অতীতের সকল মহামারীতে ভেকসিন আবিস্কার না হওয়া  পর্যন্ত এই সিস্টেমটাই অনুসরন করা হয়েছিল।অন্যদিকে বাংলাদেশে স্বাস্হ্য খাতের চিত্র একটু বলি।বিএমডিসির ওয়েবসাইডের সর্বশেষ তথ্য মতে বাংলাদেশে এমবিবিএস ডাক্তার হল ৯৩৩৫৮ জন আর দাত মহাশয়ের ডাক্তার হল ৯৫৬৯ জন। ধরলাম বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি।যেহেতু করোনা   ভাইরাস দাতের কোন ক্ষতি করে না তাই এই হিসাবে ডেন্টিস বাবুরা বাদ গেলে প্রতি ডাক্তার পেছনে রোগী হচ্ছে ১৮২০ জন।শুধু ডাক্তার, মানে আমাদের ন্যাশনাল হিরোদের দোষ দিয়ে লাভ নেই।কারন আপনি নিজেও ডাক্তার হলে কি এতো রোগীকে হ্যান্ডেল করতে পারতেন? কখনোই না----------।আরেকটা মজার তথ্য বলি, এতজন ডাক্তারের মধ্যে বিসিএস স্বাস্থ্য বা সরকারী ডাক্তারের সংখ্যা হল,২৫৬১৫ জন।চিন্তা করেন, ডাক্তারদের উপর কত লানত।আরেকটা হাসার তথ্য বলি।কেবল যাদের ধৈর্য্য আছে তাদের জন্য।স্বাভাবিক অবস্হায় প্রতি বছর অাইসিইউ সাপোর্ট লাগে বা যাদেরকে কৃটিক্যাল পেশেন্ট বলে তাদের সংখ্যা ৫০০০০ জন। বর্তমানে তো করোনার জন্য এই সংখ্যা অনেক বেশী। আসলে করোনা রোগীদের অনেক সময় icu  লাগে।তবে সব করোনা রোগীর ক্ষেত্রে লাগে না।নগন্য সংখ্যক করোনা রোগীর জন্য icu প্রয়োজন হয়।কখন হয় একটু বলি।আসলে করোনা ভাইরাস দুই রকম ভাবে মানব দেহে আঘাত করতে পারে। ১/ ফুসফুসের এ্যালভিইলির ভেতরে অবস্হিত এক ধরনের  কোষ নষ্ট করে। ফলে এ্যালভিইলি কুচকে গিয়ে রোগীর শ্বাস কষ্ট তৈরী করে। ২/ শরীরের রক্ত জমাট বেধে ফেলে। জমাট বদ্ধ এই রক্ত মাথায় গেলে স্ট্রোক,হার্টে গেলে হার্ট এ্যাটাক আর ফুসফুসে গেলে আবারো শ্বাস কষ্ট হবে।তখন কেবল  একজন করোনা রোগীর এইসব উপসর্গের ক্ষেত্রে icu প্রয়োজন হয়। বাস্তবপক্ষে icu তে যে রোগী যায়নি তিনি চিনবেন না।আমি এই বিষয়ে বলি। icc হলো রোগীর কৃটিক্যাল মোমেন্টে চিকিংসা দেওয়ার জন্য এমন একটা আধুনিক চিকিংসা ব্যবস্হা  যাতে আছে বিশেষ শয্যা,ভেন্টিলেটর, টিউব পাম্প,হার্টরেইট,ব্লাট প্রেসার সহ শরীরের অন্যান্য পরিস্হিতির চিত্র পাবার মনিটর সহ আরো আধুনিক সরন্জামাদি,আর দক্ষ ও উন্নত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডাক্তার, নার্স আর বিশেষ পোশাক।আগের হিসাবটা শেষ করি।করোনা রোগী ও অন্যান্য সেক্টরের কৃটিক্যাল রোগীর জন্য  বাংলাদেশে icu আছে ১১৬৯ টি। তারমধ্যে  সরকারী হাসপাতালে icu  মাত্র ৪৩২ টি আর রাগব বোয়ালদের দরবারে মানে বেসরকারী হাসপাতালে icu ৭৩৭ টি।সরকারী আর বেসরকারী হাসপাতালের icu যদি ২০% নষ্ট থাকে তাহলে এই সংখ্যা সরকারী ৩৪৫ টি আর বেসরকারী ৫৮০ টি icu.বেসরকারী হাসপাতালের icu  তে ব্যায় ভার আমার মত নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্তের দ্বারা বহন করা কোনদিন ও সম্ভব নয়।শেষে দেখবেন করোনার জন্য icu পাশ করলেও রাগব বোয়ালদের হাসপাতালের বিল দিতে না পেরে তাদের বাসার বাসন মাজার হাত থেকে রেহায় পাব না।তারপর আর বাদ থাকল সরকারী হাসপাতালের icu.  মনে আছে কি, তার সংখ্যা কয়টি? জি ৪৩২ টি।দেশের জন সংখ্যা মাথপিছু icu টা হিসাব আর কইরেন না।শেষে আবার ডিপ্রেশন এ যেতে হবে।তবে এতটুকু বলা যায় প্রতি লক্ষ্য জনসংখ্যার জন্য একটিও না। হাসির বিষয় হলো দেশে icu পরিচালনার জন্য আছে নগন্য সংখ্যক ডাক্তার আর নার্স।হিসাবটা নাইবা বললাম।আরেটা মজার তথ্য হল, সরকারী  ৪৩২ টি icu র মধ্যে শুধু ঢাকা শহরে আছে ৩২২ টি।আর বেসরকারী icu র মধ্যে ঢাকা শহর ও জেলা মিলিয়ে ৪৯৪ টি। আর সারা বাংলাদেশে সরকারী icu 110 টি আর বেসরকারী icu ২৪৩ টি।তাহলে আমি করোনা রোগ নিয়ে কৃটিক্যাল মোমেন্টে কেমনে ঢাকায় গিয়ে icu পাব? আরে ভাই এতক্ষণ বাচমুনি। বাচার একটা উপায় দেখা যাচ্ছে তা হলো প্লাজমা থেরাপি। আমি ভাই বাংগাল মানু, এইটা আবার কিতা ভাইয়ো? তাদের জন্য বলছি।প্লাজমা থেরাপী হলো, ইতিমধ্যেই যারা করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে সুস্হ হয়েছেন তাদের থেকে প্লাজমা নিয়ে অন্য রোগীকে দেয়া।প্লাজমা আবার কিতা? মানব রক্তে রক্তরস বা হালকা হলুদ রংগের  পানিই হলো প্লাজমা বা রক্তরস। এই রক্তরসেই থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা এ্যান্টিবডি। সুস্হ হওয়া করোনা  রোগীরও এই এ্যান্টিবডি যা রক্তরস বা প্লাজমাতে থাকে, সুস্হ হওয়ার দিন থেকে ২৮ দিনের মধ্যে  রক্ত নিয়ে রক্তরস বা প্লাজমা আলাদা করে অসুস্হ করোনা রোগীকে দেওয়া হয়। ভাই সত্যি কথা কি জানেন, লোক লজ্জায় এখন আর প্রকাশ করছে না কে সুস্হ হওয়া করোনা রোগী। অনেকে আবার দিতে চাইবে না।অনেককে আবার চিরবিদায় করে দিচ্ছে। তাই বলি একমাত্র করোনা রোগ বাচার উপায় আল্লাহর উপর ভরসা মানে মানব শরীরে আল্লাহ প্রদত্ত রোগ প্রতিরোধ শক্তি বা ইমিউনিটি সিস্টেম সঠিকভাবে বললে আল্লাহর উপর ভরসা করা। সময় দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
লিখকঃ

আইনজীবী সাতকানিয়া যুগ্ম জেলা জজ।